অথবা, এখনোগ্রাফিক অনুসন্ধানের সকল দিকগুলো উল্লেখ কর।
অথবা এখনোগ্রাফিক অনুসন্ধানের সুবিধাসমূহ তুলে ধর।
অথবা, এথনোগ্রাফিক অনুসন্ধানের সবল দিকসমূহ লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : বর্তমানে উন্নত এবং উন্নয়নশীল বিশ্বের জটিল সমাজ জীবনের বিভিন্ন দল, উপদল, সংস্কৃতি, উপসংস্কৃতি, বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম এবং অপরাধীদের আচরণ সম্পর্কে জানার জন্য এখনোগ্রাফিক অনুসন্ধান অভ্যস্ত সফলভাবে প্রয়োগ হচ্ছে। এ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে একজন গবেষক তাঁর ইচ্ছানুযায়ী গবেষণার বিষয় বা ক্ষেত্র নির্বাচন করতে পারেন এবং সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারেন। এ অনুসন্ধানের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।
এখনোগ্রাফিক অনুসন্ধানের সুবিধা : নিম্নে এ সুবিধাগুলো আলোচনা করা হলো :
প্রথমত, এ গবেষণার বড় সুবিধা হলো গবেষককে গবেষণা এলাকায় অবস্থান করতে হয় এবং সরজমিনে ঘটনা তদারকি করে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা যায় ।
দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতিতে গবেষককে কোন এলাকায় অনেকদিন অবস্থান করতে হয় বলে সেখানকার লোকদের সাথে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক (Rapport) গড়ে তুলতে হয় এবং এ সম্পর্কের ভিত্তিতে উত্তর দাতাদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য বের করে নিয়ে আসতে পারেন।
তৃতীয়ত, এ পদ্ধতিতে গবেষককে পর্যবেক্ষক হিসেবে ঘটনার সময় উপস্থিত থাকতে হয় যা সঠিক ফলাফলের জন্য খুবই কার্যকর।
চতুর্থত, এ পদ্ধতির মাধ্যমে কোন দল বা জনগোষ্ঠীরা সমাজকাঠামো, তাদের আচার-আচরণ, মূল্যবোধ, রীতিনীতি, বিশ্বাস ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে অবগত হওয়া যায় ।
পঞ্চমত, এ পদ্ধতিতে গবেষক নিরপেক্ষভাবে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন বিধায় প্রাপ্ত তথ্যের সঠিকতা ও যথার্থতা বৃদ্ধির সুযোগ বিদ্যমান থাকে।
ষষ্ঠত, এ পদ্ধতিতে গবেষককে বিষয়বস্তুর আঙ্গিকে গবেষণা এলাকায় উপাত্ত সংগ্রহ করেন বিধায় তার নিরপেক্ষতা বজায় রাখার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
সপ্তমত, এ পদ্ধতিতে গবেষককে গবেষণাধীন এলাকায় দীর্ঘকাল অবস্থান করতে হয় বলে কোন তথ্যই বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
অষ্টমত, এ পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্র মৌলিক ও নিরপেক্ষ । কেননা এতে কাঠামোগত প্রশ্নমালার নিয়ন্ত্রণ পক্ষপাতিত্ব ও সাক্ষাৎকার বিষয়ক জটিল পরিবেশের ঝামেলা পোহাতে হয় না।
নবমত, এখনোগ্রাফিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে উত্তরদাতার ‘বলা বা না বলা’ উভয় ধরনের ভাবানুভূতির প্রকাশকে পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করা যায় ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, গবেষক নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান করে সরজমিন ঘটনা তদারকি করেন এবং প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন।