Download Our App

একটি কাল্পনিক যোগান সূচি থেকে কিভাবে যোগান রেখা অংকন করা যায়।

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন

অথবা, একটি যোগান সুচি থেকে যোগান রেখা অংকন কর।

উত্তর : প্রারম্ভিক কথা: বিক্রেতা বা উৎপাদনকারী দ্রব্যের বিভিন্ন দামে কি পরিমাণ যোগান দিতে ইচ্ছুক তা যোগান সূচিতে লিপিবদ্ধ হয় এবং যোগান সূচিতে জ্যামিতিক পদ্ধতিতে উপস্থাপন করলে যোগান রেখা পাওয়া যায়। নিচে একটি সংখ্যা সূচক লিনিয়ার সমীকরণ থেকে প্রাপ্ত যোগান সূচি ও যোগান রেখা দেওয়া হলঃ

কাল্পনিক যোগান সুচি : মনে করি, কাল্পনিক যোগান সমীকরণ s=20p
এখানে,s= যোগানের পরিমাণ

দাম,p= 1 টাকা হলে s=20(1) = 20 একক।

দাম,p= 2 টাকা হলে s=20(2) = 40 একক।

দাম,p= 3 টাকা হলে s=20(3) = 60 একক।

দাম,p= 4 টাকা হলে s=20(4) = 80 একক।

এভাবে বিভিন্ন দামে উপরোক্ত অপেক্ষকের চাহিদাসূচী প্রণয়ন করা হলো: মাধ্যমে প্রাপ্ত বিভিন্ন চাহিদার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে একটি
মনে করি, ৪ = 20p হলে, স্বাধীন চলক দাম (p)-এর বিভিন্ন মানে অধীন চলক যোগানের (৬) যে পরিমাণ পাওয়া যায়- তা নিম্নে তালিকায় উপস্থাপন করে যোগন সূচি তৈরি করি।

“কাল্পনিক যোগান সূচি”

প্রতি এককের দাম(p)যোগানের পরিমান(S)প্রাপ্ত বিন্দু
1 টাকা20 এককa
2 টাকা40 এককb
3 টাকা60 এককc
4 80 এককd

সূচিতে দেখা যায়, দাম বৃদ্ধি পেলে যোগানের পরিমাণ বেড়ে যায়। বিপরীত অবস্থায় দাম হ্রাস পেলে যোগানের পরিমাণ হ্রাস পায়।

যোগান রেখা অংকন: কাল্পনিক যোগান সূচিতে দামকে চিত্রে লম্ব অক্ষে এবং যোগানের পরিমাণকে চিত্রে ভূমি অক্ষে প্রকাশ করে যোগান রেখা অঙ্কন করি।

চিত্রে ভূমি অক্ষে যোগানের পরিমাণ (৫) লম্ব অক্ষে দাম (p) ধরে, সূচিতে মানসমূহকে প্রয়োজনীয় পরিমাপ গ্রহণ করে বিন্দু a, b. c d পাই। এক্ষেত্রে দেখা যায়, দাম যখন 1 টাকা যোগানের পরিমাণ 20 একক, প্রাপ্ত বিন্দু একই ভাবে দাম যখন 4 টাকা যোগানে ৪০ একক, প্রাপ্ত বিন্দু d, অর্থাৎ দাম বাড়লে যোগানের পরিমাণ বাড়ে। দাম ও যোগানের মধ্যকার ধনাত্মক সম্পর্ক নিদের্শকারী a, b, c ও d বিন্দু যোগ করে ৪৪’ রেখা অংকন করা হলো।

উপসংহারঃ উপরের বিষদ আলোচনার পরিসমাপ্তি টানতে গিয়ে বলা যায় একটি যোগান সমীকরনে বিভিন্ন মান বসিয়ে একটি যোগান সূচি তৈরি করে তার মানের ভিত্তিতে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে বলা যোগান রেখা বলা হয়। সাধারণত এই ভাবেই একটি কাল্পনিক যোগান সূচি থেকে একটি যোগান রেখা অংকন করা যায়।