Download Our App

একটি কাল্পনিক চাহিদা সূচি থেকে চাহিদা রেখা অংকন কর।

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন

অথবা, একটি চাহিদা সুচি থেকে চাহিদা রেখা অংকন কর।

উত্তর: প্রারভিক কথাঃ দামের সাথে চাহিদার বিপরীত সম্পর্ক প্রকাশ পায়। কি পরিমাণ নামে কি পরিমান চাহিদা হয় তা চাহিদা সূচিতে লিপিবদ্ধ হয় এবং চাহিদা সূচিকে জ্যামিতিক পদ্ধতিতে উপস্থাপন করলে চাহিদা রেখা পাওয়া যায়। নিচে একটি কাল্পনিক সংখ্যা সূচক লিনিয়ার সমীকরণ থেকে প্রাপ্ত চাহিদা সূচি ও চাহিদা রেখা দেওয়া হলঃ

কাল্পনিক চাহিদা সূচি: লিনিয়ার সমীকরণ D = 10-2P থেকে চাহিদা রেখা অঙ্কন করার পূর্বে একটি সূচি তৈরী করতে হবে।

এখানে, D = চাহিদার পরিমাণ।

*10= ছেদক

-2= ঢাল

P= দাম।

দাম, P=। টাকা হলে D= 10-2(1)=৪ একক।

দাম, P= 2 টাকা হলে D = 10-2(2)=6 একক।

দাম, P=3 টাকা হলে D = 10-2(3)=4 একক। দাম, P=4 টাকা হলে D = 10-2(4) = 2 একক

এভাবে বিভিন্ন দামে উপরোক্ত অপেক্ষকের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিভিন্ন চাহিদার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে একটি চাহিদাসূচী প্রণয়ন করা হলো:

দাম(p)চাহিদার পরিমাণ(D)
১ টাকা৮ একক
২ টাকা৬ এককc
৩ টাকা ৪ এককb
৪ টাকা২ এককa
চাহিদা রেখা অঙ্কনঃ নিম্নে চাহিদা রেখা অঙ্কন করা হলো: নিম্নের চিত্রে OX অক্ষে চাহিদার পরিমাণ ও OY অক্ষে দাম নির্দেশ করা হল।

OX অক্ষে চাহিদার পরিমাণ 2, 4, 6, 8 এবং OY অক্ষে দাম 1, 2, 3, 4 চিহ্নিত করি।। সাম যখন । টাকা চাহিদা তখন ৪ দাম যখন 2 টাকা চাহিদা তখন দাম যখন ও দাম যখন এ টাকা চাহিদা তখন একক এবং এদের মিলিত বিন্দু হল এ একক এবং এদের মিলিত বিন্দু হল একক এবং এদের মিলিত বিন্দু হল ৮ একক এবং এদের মিলিত বিন্দু হল এ 4 টাকা চাহিদা তখন দাম ও চাহিদা নির্দেশক বিন্দুগুলো হল a, b, c ও । এখন a, b, c ও ঐ বিন্দুসমূহ যোগ করলে যে DD’ রেখা পাওয়া যায়, তাই চাহিদা রেখা।

এভাবে একটি কাল্পনিক চাহিদা সূচির ভিত্তিতে একটি চাহিদা রেখা অঙ্কন করা যায়।

উপসংহার: শেষ কথায় আমরা বলতে পারি কোনো দ্রব্যের সূচি থেকে তার মান কোনো রেখার ভূমি ও লম্ব অক্ষে স্থাপনের মাধ্যমে যে রেখা পাওয়া যায় তাকেই বলা হয় চাহিদা রেখা। আর এভাবেই একটি কাল্পনিক চাহিদা সূচি থেকে চাহিদা রেখা অংকন করা হয়।