অথবা, এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার ইতিবাচক দিক কী?
অথবা, এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তরঃ ভূমিকা : আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের কার্যাবলি সাধারণত তিনটি বিভাগের মাধ্যমে সম্পাদন হয়। তিনটি বিভাগের মধ্যে আইন বিভাগ অন্যতম। বর্তমানে সাধারণত দু’ধরনের আইনসভা লক্ষ্য করা যায়। যথা :
এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা তবে সরকারের সমস্যাবলি দ্রুত সমাধান কল্পে এককক্ষ বিশিষ্টআইনসভার কোন বিকল্প নেই।
এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সুবিধা : নিম্নে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সুবিধা আলোচনা করা হলো :
১. ঐক্যের প্রতীক : এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা ঐক্যের প্রতীক। এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় সুষ্ঠুভাবে আইন প্রণীত হতে পারে। আবিসিয়ের মতে, “যদি দ্বিতীয় কক্ষ প্রথম কক্ষের চেয়ে ভিন্ন মত পোষণ করে তাহলে হয় অপকারী এবং যদি একই মত পোষণ করে তাহলে হয় অপ্রয়োজনীয়। “
২. দ্রুত আইন প্রণয়ন : এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো দ্রুত আইন প্রণয়ন। আইনসভা দ্বিকক্ষ হলে আইন প্রণয়নে জটিলতা দেখা দেয় ফলে বিলম্ব হয় কিন্তু আইনসভা এককক্ষ হলে যে কোন সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নেয়া যায়।
৩. ব্যয় কম : এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা পরিচালনায় ব্যয় কম। একজন আইনসভার সদস্য বহুবিধ সুবিধা ভোগ করেন। ফলে দ্বিকক্ষ হলে সদস্য বাড়বে, তাতে সরকারের ব্যয়ও বাড়বে। তাই অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য এককক্ষই অধিক গ্রহণীয়।
৪. সহজ গঠন প্রক্রিয়া: এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার গঠন অত্যন্ত সহজ। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে 8 এটা গঠিত হতে পারে। দুটি কথা থাকলে গঠন প্রক্রিয়া জটিল ও গঠন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে।
৫. চাহিদা মিটাতে সক্ষম : এককক্ষে আইন সুচিন্তিত সুবিবেচিত হয় না একথা বলার কোন যুক্তি নেই। সরকারি ও বিরোধী দল বিভিন্ন পর্বে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার পর আইন প্রণয়ন করে। এতে আর অন্য প্রকার আলোচনার অবকাশ থাকে না।
উপসংহার : আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে আমরা বলতে পারি যে, আধুনিক সরকারের আইন সংক্রান্ত কার্যাবলি। সমাধানে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার কোন বিকল্প নেই। যে কোন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।