অথবা, এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সমস্যা কী?
অথবা, এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার বিপক্ষে যুক্তি দেখাও ।
উত্তরঃ ভূমিকা : গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকারের আইন প্রণয়নের সকল কাজ করে থাকে সরকারের আইন বিভাগ। তবে কথা হলো সরকারের আইন প্রণয়নমূলক কাজে কোন আইনসভা বেশি কার্যকর? এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা মাকি বিপক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা। সরকারের আইন প্রণয়নে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। বিভিন্ন
ক্ষেত্রে এককক্ষ আইনসভার অনেক অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়।
এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার অসুবিধা : নিম্নে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা অসুবিধা বা নেতিবাচক দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. আলোচনার অবকাশ নেই : এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় আলোচনার অবকাশ থাকে না। আলোচনার ব্যাপক সুবিধা না থাকায় সত্য আবিষ্কার সম্ভব হয় না। এককক্ষে হঠকারিতামূলক আইন রচিত হতে পারে। কোন বিশেষ দলের একক সংখ্যা গণিষ্ঠতা থাকলে তা ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে।
২. জ্ঞানী ব্যক্তির অনুপস্থিতি : এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় দেশ জ্ঞানী ব্যক্তির পরামর্শ থেকে বঙ্গিত হয়। কারণ ভারা সাধারণত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রাজি হন না। নির্বাচনী ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চায়। দ্বিতীয় অন্য কোন কক্ষ থাকলে দেশ তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হয় না।
৩. সুচিন্তিত আইন প্রণয়ন সম্ভব নয় : এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় সুচিন্তিত আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু দুটি কক্ষ থাকলে তা সম্ভব হয়। প্রথম কক্ষে আলোচনার তা দ্বিতীয় কক্ষে যায়, ফলে দোষ ক্রটি ধরা পড়ে এবং ভাবাবেগ বর্ণিত হয়।
৪. বিভিন্ন শ্রেণির অংশীদারিত্বের অনিশ্চয়তা : এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণির অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা যায় না। এতে অঙ্গীভূত অঞ্চলসমূহের স্বার্থ সমভাবে রক্ষিত হয় না।
উপসংহার : আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে আমরা বলতে পারি যে, এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার কিছু সুবিধা থাকলেও এর অসুবিধা বেশি তাই বর্তমানে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা হ্রাস পাচ্ছে এবং দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গড়ে উঠেছে।