উত্তর : ভূমিকা : অতীত ইতিহাস জানার জন্য আমাদের কোনো না কোনো তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সামনের দিকে এগোতে হয়। এ তথ্য উপাত্তগুলো ইতিহাস রচনার উপকরণ বা উৎস হিসেবে বিবেচিত। উৎস ছাড়া, আমরা ইতিহাস রচনা করতে পারি না। এ কারণে উৎস বা উপকরণের গুরুত্ব অপরিসীম। নিম্নে উৎসের সংজ্ঞা দেওয়া হলো :
→ উৎসের সংজ্ঞা : ইতিহাস রচনার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো উৎস বা উপকরণ প্রাপ্তি। আমাদের হাতে যদি কোনো উৎস না থাকে তাহলে আমাদের কাজ চালানোই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে আমরা যেসব তথ্য প্রমাণাদি পেয়ে থাকি, সেগুলোই উৎস হিসেবে বিবেচিত। ইতিহাস রচনা বিভিন্ন ধরনের উৎস বা উপাদানের উপর নির্ভরশীল। একারণে ঐতিহাসিকগণের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বিভিন্ন উৎসসমূহ সংরক্ষিত রয়েছে। উৎসসমূহের মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক দলিল-পত্রাদি, শিলালিপি, তাম্রশাসন, জীবন চরিত, প্রাচীন গ্রন্থাবলি, মুদ্রা, তাম্রশাসন, দানপত্র, পর্যটকদের বিবরণ, সৌধ ভাস্কর্য প্রভৃতি এগুলো সব জাতির প্রাচীন ইতিহাস পুনর্গঠনের এক অমূল্য উপাদান।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কোনো সুনির্দিষ্ট উৎস বা উপকরণের ভিত্তিতেই আমরা ইতিহাস রচনা করতে পারি। এটা
ছাড়া ইতিহাস রচনা সম্ভব নয়। এজন্য উৎসের মূল্য অনেক।