অথবা, উপজেলা পরিষদ কোন কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করে তা উল্লেখ কর।
অথবা, উপজেলা পরিষদের ভূমিকা উল্লেখ কর।
অথবা, উপজেলা পরিষদের কার্যাবলির বর্ণনা দাও।
অথবা, উপজেলা পরিষদের ভূমিকা বর্ণনা কর।
অথবা, উপজেলা পরিষদের কার্যাবলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
ভূমিকা : স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় থানা কাউন্সিলের নাম হয় থানা উন্নয়ন কমিটি। ১৯৭৬ সালে থানা উন্নয়ন কমিটির নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় থানা পরিষদ। ১৯৮৩ সালে থানা নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় উপজেলা এবং থানা পরিষদ হয় উপজেলা পরিষদ।
উপজেলা পরিষদের কার্যাবলি : উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ নিম্নোক্ত কার্যাদি সম্পাদন করে থাকে-
১. পাঁচসালা ও বিভিন্ন মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করা।
২. পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং উক্ত দপ্তরের কাজকর্মসমূহের তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় করা।
৩ .আন্তঃ ইউনিয়ন সংযোগকারী রাস্তা নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।
৪. ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নির্দেশনা অনুসারে উপজেলা পরিষদ ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিতকরণ।
৬.স্যানিটেশন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি সাধন এবং সুপেয় পানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থা গ্রহণ ।
৭.উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা প্রসারের জন্য উদ্বুদ্ধকরণ এবং সহায়তা প্রদান।
৮.কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন ও বিকাশের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ।
৯.সমবায় সমিতি ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কাজে সহায়তা প্রদান এবং কাজে সমন্বয়সাধন।
১০.মহিলা, শিশু, সমাজকল্যাণ এবং যুব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান এবং বাস্তবায়ন করা।
১১. উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ পুলিশ বিভাগের কার্যক্রম আলোচনা এবং নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ।
১২. আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নিজ উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহণ, বাস্তবায়ন এবং এতদসম্পর্কে সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উপজেলা পরিষদ জনকল্যাণমূলক বিবিধ কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে তন্মধ্যে দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাস দমন, পরিবেশ সংরক্ষণ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।