অথবা, নারী নির্যাতনে ইভ টিজিং সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : যুগ যুগ ধরে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নারী নির্যাতনের বিভিন্ন বিষয় বের হয়ে আসছে। নারী নির্যাতনের তেমনি এক
হলো ইভ টিজিং! রাস্তাঘাটে মেয়েদের ইভ টিজিং করার মাধ্যমে নব্য কৌশল তাদের জীবনযাত্রা বিষাক্ত করা হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী সমাজ। নিম্নে নারী নির্যাতনে ইভ টিজিং সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
ইভটিজিং : সাধারণভাবে ইভটিজিং বলতে আমরা বুঝি বিভিন্ন ধরনের যৌন আচরণ; যার মাধ্যমে রাস্তাঘাটে মেয়েদের উত্যক্ত করা হয়। ইভ টিজিং শব্দটি দ্বারা প্রকাশ পায় এক ধরনের মানসিক যৌন নির্যাতন। প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় দেখা যায় অসংখ্য নারী ইভ টিজিং এর শিকার এবং অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ইভ টিজিং এর শিকার
বেশি হয় স্কুল, কলেজগামী কিশোরীরা। রাস্তাঘাটে বখাটে ছেলেরা মেয়েদের দেখলে শিস দেয়া, চোখ মারা, অশোভন শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, ওড়না টেনে ধরা ইত্যাদি ইভ টিজিং এর আওতায় পড়ে এবং এর মাধ্যমে নারীদের যৌন হয়রানি করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ (২) ধারায় বলা হয়েছিল, কোন পুরুষ অবৈধভাবে তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কোন নারীর শ্লীলতাহানী করলে বা অশোভন অঙ্গভঙ্গি করলে তার এ কাজ হবে যৌন হয়রানি এবং এজন্য উক্ত পুরুষ অনধিক ৭বছর কিন্তু অন্যূন ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে এবং এর অতিরিক্ত অর্থদন্ডে দণ্ডণীয় হবেন। কিন্তু এ ধারার অপব্যবহার হতে পারে তাই ২০০৩ সালে এ আইনের সংশোধন করা হয়।
উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি, ইভ টিজিং নারী সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি। তাই এই হুমকি মোকাবিলায় শুধু আইন প্রণয়ন করলেই হবে না বরং আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।