Download Our App

ইতিহাস রচনার উপাদান সাধারণত কয় ভাগে বিভক্ত?

ইতিহাস রচনার উপাদান সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়:

১) লিখিত উপাদান:

  • শিলালিপি: প্রাচীন যুগের রাজা-মহারাজাদের ফরমান, ঘোষণা, আইন-কানুন ইত্যাদি পাথরে খোদাই করে রাখা হত। এগুলোকেই বলা হয় শিলালিপি। শিলালিপি থেকে আমরা সেই সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি।
  • তাম্রলিপি: তামার পাতে লেখা নথিপত্রকে তাম্রলিপি বলে। তাম্রলিপিও শিলালিপির মতোই ঐতিহাসিক তথ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
  • মুদ্রা: রাষ্ট্র কর্তৃক নির্গত মুদ্রায় রাষ্ট্রের নাম, শাসকের নাম, মুদ্রাঙ্কনকাল ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। মুদ্রা বিশ্লেষণ করে সেই সময়ের অর্থনৈতিক অবস্থা ও বাণিজ্য সম্পর্কে জানা যায়।
  • সাহিত্য: ঐতিহাসিক, কাব্য, নাটক, উপন্যাস, আত্মজীবনী, ভ্রমণকাহিনী ইত্যাদি সাহিত্যকর্মে ঐতিহাসিক তথ্য লুকিয়ে থাকে। লেখকরা সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি তাদের রচনায় ফুটিয়ে তোলেন।
  • দলিলপত্র: রাজ্য কর্তৃক জারি করা বিভিন্ন আদেশ, নির্দেশিকা, পরোয়ানা, চিঠিপত্র ইত্যাদিকে দলিলপত্র বলে। দলিলপত্র থেকে আমরা সেই সময়ের রাষ্ট্রব্যবস্থা, প্রশাসন ব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারি।
  • অন্যান্য: বেদ, পুরাণ, জাতক, মহাকাব্য, ধর্মগ্রন্থ, বিদেশী পর্যটকদের বিবরণ ইত্যাদিও লিখিত উপাদানের অন্তর্ভুক্ত।

২) অলিখিত উপাদান:

  • প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন: প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে প্রাপ্ত নিদর্শন যেমন ভবন, প্রাসাদ, মূর্তি, মৃৎশিল্প, অস্ত্র, সরঞ্জাম, অলঙ্কার ইত্যাদিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বলে। এসব নিদর্শন বিশ্লেষণ করে সেই সময়ের মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি, শিল্পকলা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়।
  • মৌখিক ঐতিহ্য: পুরনোদের কাছ থেকে মুখে মুখে প্রচলিত গল্প, গান, কিংবদন্তি, ছড়া, প্রবাদ ইত্যাদিকে মৌখিক ঐতিহ্য বলে। মৌখিক ঐতিহ্য থেকে আমরা সেই সময়ের মানুষের বিশ্বাস, ধারণা, রীতিনীতি, ঐতিহ্য ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারি।

উল্লেখ্য যে, ঐতিহাসিকরা লিখিত ও