ইতিহাসের পরিধি বলতে কী বুঝ?

ইতিহাসের পরিধি বলতে বোঝায় ইতিহাসবিদরা কোন সময়কাল, স্থান, ঘটনা, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, ধারণা, প্রবণতা ইত্যাদির উপর গবেষণা করতে পারেন তার সীমা

এই সীমা নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয়, যেমন:

  • গবেষকের আগ্রহ: ঐতিহাসিক কোন নির্দিষ্ট সময়কাল, স্থান, ব্যক্তি, ইত্যাদির প্রতি আগ্রহী হতে পারেন।
  • উপাদানের প্রাপ্যতা: ঐতিহাসিক গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, নথিপত্র, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইত্যাদির প্রাপ্যতা তার গবেষণার পরিধি নির্ধারণ করে।
  • গবেষণার উদ্দেশ্য: ঐতিহাসিক কোন নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার জন্য গবেষণা করতে পারেন, যা তার গবেষণার পরিধিকে প্রভাবিত করবে।
  • সময় ও অর্থের সীমাবদ্ধতা: ঐতিহাসিক গবেষণা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হতে পারে, যা তার গবেষণার পরিধিকে সীমাবদ্ধ করতে পারে।

ইতিহাসের পরিধি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকদের কিছু সাধারণ নীতি অনুসরণ করা উচিত:

  • নির্দিষ্টতা: গবেষণার বিষয়বস্তু স্পষ্ট ও নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা উচিত।
  • সীমাবদ্ধতা: গবেষণার যে সীমাবদ্ধতাগুলো রয়েছে সেগুলো স্বচ্ছভাবে স্বীকার করা উচিত।
  • সংগতিপূর্ণতা: গবেষণার বিষয়বস্তু ও পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।
  • গুরুত্ব: গবেষণার বিষয়বস্তু ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।

উদাহরণ:

  • একজন ঐতিহাসিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে ঢাকা শহরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর গবেষণা করতে পারেন। এখানে, গবেষণার পরিধি নির্ধারিত হয়েছে সময় (মুক্তিযুদ্ধ), স্থান (ঢাকা শহর) এবং বিষয় (রাজনৈতিক পরিস্থিতি)।
  • আরেকজন ঐতিহাসিক প্রাচীন মিশরের সমাজ ব্যবস্থার উপর গবেষণা করতে পারেন। এখানে, গবেষণার পরিধি বিস্তৃত কারণ এটি একটি দীর্ঘ সময়কাল (প্রাচীন মিশর) এবং সমাজের বিভিন্ন দিক (সামাজিক শ্রেণী, অর্থনীতি, ধর্ম, ইত্যাদি) অন্তর্ভুক্ত করে।

উপসংহার, ইতিহাসের পরিধি নির্ধারণ করে একজন ঐতিহাসিক কতটা বিস্তৃত বা সীমিতভাবে গবেষণা করতে পারবেন। গবেষণার পরিধি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকদের কিছু সাধারণ নীতি অনুসরণ করা উচিত যাতে গবেষণাটি নির্দিষ্ট, সীমাবদ্ধ, সংগতিপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়