“ইতিহাসের জনক” হিসেবে গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসকে বিবেচনা করা হয়।
তিনি ৫ম শতাব্দী খ্রিস্টপূর্বাব্দে জীবিত ছিলেন এবং “ইতিহাস” (Ιστορίαι) নামক একটি বিখ্যাত গ্রন্থ লিখেছিলেন। এই গ্রন্থে তিনি গ্রীক ও পারসিকদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছিলেন।
হেরোডোটাসকে “ইতিহাসের জনক” বলা হওয়ার কারণ হল:
- তিনি প্রথম ব্যক্তি ছিলেন যিনি লিখিত ইতিহাসকে একটি পদ্ধতিগত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রচনা করেছিলেন।
- তিনি ঘটনাগুলির কালানুক্রমিক বর্ণনা দিয়েছিলেন এবং তাদের কারণ ও প্রভাব বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছিলেন।
- তিনি বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এবং তাদের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করার চেষ্টা করেছিলেন।
- তিনি ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির নৈতিক ও রাজনৈতিক দিকগুলি নিয়েও আলোচনা করেছিলেন।
যদিও হেরোডোটাসের লেখার কিছু ত্রুটি ও পক্ষপাত রয়েছে, তবুও তিনি ঐতিহাসিক গবেষণার ক্ষেত্রে একজন পথিকৃৎ ছিলেন এবং তার কাজ আধুনিক ইতিহাসবিদ্যাের ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তবে, “ইতিহাসের জনক” হিসেবে হেরোডোটাসের খ্যাতির ব্যাপারে কিছু বিতর্কও রয়েছে। কারণ তার পূর্বেও অনেকে ঐতিহাসিক ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন:
- থুসাইডাইডস: তাকে “বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক” বলা হয়।
- হিরোনিমাস: তিনি খ্রিস্টান ইতিহাস লেখার জন্য বিখ্যাত।
- ইবন খালদুন: তাকে “ইসলামী ইতিহাসবিদ্যার জনক” বলা হয়।
অবশেষে, “ইতিহাসের জনক” কে তা নির্ধারণ করা একটি জটিল প্রশ্ন। তবে, হেরোডোটাসের অবদান অস্বীকার করা যায় না। তিনি ঐতিহাসিক গবেষণার ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং তার কাজ আধুনিক ইতিহাসবিদ্যার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।