আমরা অনেক সময়ই ভাবি, “ইসস! আমার হাতের লেখা যদি আরেকটু সুন্দর হতো!” “আমার হাতের লেখা খুব বিশ্রী। কীভাবে যে সুন্দর করবো!”
ডিজিটাল ভাবে লেখার চেয়ে হাতে লিখলে আপনি ইংরেজি রাইটিং আরও দ্রুত শিখতে পারবেন। এছাড়াও লিখলে সেটা দীর্ঘক্ষণ মনে থাকে। এক এক জনের এক এক রকম হাতের লিখা হয়ে থাকে। কিন্তু তাই বলে আপনি একটা কিছু লিখলেন কিন্তু সেটা কেউ বুঝতেই পারলো না, তা হলে তো চলবে না! ইংরেজি রাইটিং শেখার সময় হাতের লেখা সুন্দর না হওয়ার আক্ষেপ আমাদের অনেকেরই থেকে যায়। আমরা হাতের লেখা সুন্দর করে তুলার টেকনিকগুলো বুঝে উঠতে পারি না। তাহলে চলুন ইংরেজি হাতের লেখা সুন্দর করার দারুণ উপায় আজকে জেনে নেওয়া যাক।
১. ইংরেজিতে আপনার হাতের লেখা উন্নত করতে প্রথমে আপনাকে ইংরেজি বর্ণমালা বুঝতে হবে। ইংরেজি বর্ণমালায় ২৬টি অক্ষর রয়েছে। আপনি প্রতিটি অক্ষর ৪টি ভিন্ন উপায়ে লিখতে পারেন:
১. বড় হাতের (ক্যাপিটাল) প্রিন্ট
২. ছোট হাতের (ছোট) প্রিন্ট
৩. বড় হাতের (ক্যাপিটাল) কার্সিভ
৪. ছোট হাতের (ছোট) কার্সিভ
বড় হাতের লেখার সময় সবগুলো অক্ষর সমান উচ্চতার হবে। ছোট হাতের লেখার সময় একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে small letter গুলো এক একটা এক এক উচ্চতার হয়ে থাকে।
প্রিন্ট লেখা হচ্ছে আলাদা আলাদা করে লেখার স্টাইল। একটা অক্ষর থেকে অন্য একটা অক্ষর আলাদা থাকবে। এভাবে সাধারণত ইনফর্মাল ভাবে লেখা হয়।
কার্সিভ লেখা হচ্ছে টানা হাতের লেখা। এখানে একটা বানানের সবগুলো অক্ষর এক সাথে ব্রেক ছাড়া লেখা হয়ে থাকে। এটা সিগনেচার বা ফর্মাল কাজে ব্যবহৃত হয়।
ইংরেজি লেখা সুন্দর করতে হলে আপনাকে ৪টা পদ্ধতিই ভালো করে প্র্যাক্টিস করতে হবে।
২. ধীরে ধীরে লিখার চেষ্টা করুন। আমরা যখন লিখার প্র্যাক্টিস করি তখন আমরা যে ভুলটা প্রায়ই করে থাকি সেটা হচ্ছে আমরা খুব দ্রুত লেখার চেষ্টা করি। কিন্তু সেটা না করে আমাদের ধীরে ধীরে লিখতে হবে। এর কারণ কী জানেন? এর কারণ হচ্ছে লেখার সময়ে ঘুরিয়ে লিখা, আকৃতি, ধরণ এই জিনিসগুলো তাহলে খুব সহজেই ধরা যায়।
মনে রাখবেন, শেখার এই স্টেজে পার্ফেক্ট করে তুলার চেয়ে উন্নতি করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৩. বেশি করে প্র্যাক্টিস করুন। হ্যাঁ, প্র্যাক্টিসের কোনো বিকল্প নেই। ইংরেজি একটা বাক্য নিন। নিয়ে প্রথম কয়েকবার সেটা খুব ধীরে ধীরে লিখার পরে আরও বেশ কয়েকবার প্র্যাক্টিস করুন। কিন্তু এই বার দ্রুত লিখার চেষ্টা করবেন।
এভাবে বেশ কয়েকবার প্র্যাক্টিস করার সময় একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যে দ্রুত লিখতে গিয়ে যেন হাতের টান বা অক্ষরের কাঠামোগুলো যেন ঠিক থাকে। যদি লিখার পরে লক্ষ্য করেন যে, ঠিক থাকছে না, তাহলে আপনাকে আরও বেশ কয়েকবার ধীরে ধীরে লিখে প্র্যাক্টিস করতে হবে।
৪. কপি করুন। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। ইংরেজি হাতের লেখা সুন্দর করতে হলে কপিও করা যেতে পারে। কিন্তু এটা যেই সেই কপি না। কী, অবাক হচ্ছেন?
আপনার আশেপাশের কারো হাতের লিখা সুন্দর হতেই পারে। যদি হাতের লেখা সুন্দর, এমন কেউ থেকে থাকে তাহলে উনার লেখার ধরণ লক্ষ্য করুন। উনি cursive লিখেন নাকি print? টানা গুলো কীভাবে দিয়ে থাকেন? কলমের প্রেসার কতটুকু প্রয়োগ করেন? এই জিনিসগুলো খুব ভালো করে লক্ষ্য করুন।
পরিচিত কেউ না থাকলে ইন্টারনেটে সার্চ করুন। গুগল বা ফেসবুকে সুন্দর হাতের লিখার উদাহরণ খুবই সহজেই পেয়ে যাবেন।
তাহলে, আজকে থেকেই হাতের লিখা সুন্দর করার মিশন শুরু করে দেওয়া যাক, নাকি?