আমুর চোখে দুর্ভিক্ষকালীন গ্রাম-শহরের যে পার্থক্য ধরা পড়েছে তার বিবরণ দাও।

উত্তর : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত ‘নয়নচারা’ গল্পে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষগুলো নয়নচারা গ্রাম থেকে শহরে আসে কিছু খাদ্যের জন্যে। শহরে এসেও তাদের অন্তর্জগৎ ভরে থাকে নয়চারার স্মৃতিকে স্মরণ করে। নয়নচারা গ্রাম ছিল আমুদের জীবনীশক্তি। কিন্তু আমুর মতো মানুষেরা শহওে মানুষের ব্যবহারে হয়েছে বিস্মিত ও হতবাক। ‘মা-গো, চাট্টি খেতে দাও’ শব্দগুলো শহরের বাড়িগুলোর গায়ে ধাক্কা দিয়ে ফিরে এলেও তা শহরবাসীর কানে পৌছাতে ব্যর্থ হয়। আমুর চোখে শহরের এবং গ্রামের মানুষের মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য ধরা পড়ে। গ্রামে এবং শহরে উভয় জায়গায় তারা দেখা গেলেও তার নিচের পরিবেশ যেন বিচিত্র। গ্রামের তারাভরা আকাশের নিচে ঢালা মাঠ, ভাঙা মাটি, ঘাস, শস্য এবং ময়ূরাক্ষী নদী বিদ্যমান। কিন্তু শহরে তারা ভরা আকাশের নিচে আছে হিংসা- বিদ্বেষ, নিষ্ঠুরতা এবং অসহ্য বৈরিতা। তাছাড়া গ্রামের মানুষের অন্তর যেখানে আদর-ভালোবাসয় পূর্ণ- সেখানে শহরের মানুষের মন অমানবিকতায় পরিপূর্ণ। মূলত দুর্ভিক্ষকালীন সময়ে গ্রাম এবং শহরে দুর্ভিক্ষ হানা দিয়েছিল ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে। গ্রাম থেকে আগত মানুষের শহরে প্রতি আশা ছিল বেশি। কিন্তু তার সে আশা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলে তাদের চোখে গ্রাম এবং শহরে রূপ সহজে ধরা পড়ে- যা গল্পকার ‘নয়নচারা’ গল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%a8%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%a8%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa-%e0%a6%b8%e0%a7%88%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%a6-%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be/