অথবা, আমলাতন্ত্রের সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।
বা, আমলাতন্ত্রের সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
এবা, আমলাতন্ত্রের সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা দাও।
অথবা, হূ লাতন্ত্রের সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা : আমলাতন্ত্রের ধারণা একটি সার্বজনীন ধারণা। বিশ্বের প্রায় সব সরকারি এমনকি বেসরকারি ব্যবস্থাও কোনো কোনো আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা। সংক্ষেপে বলা যায় আমলাতন্ত্র হলো বিভিন্ন দপ্তর নির্ভর শাসনব্যবস্থা যেখানে স্থায়ী বেতনভুক্ত এবং দক্ষ একদল পেশাজীবী শ্রেণি থাকবে।
আমলাতন্ত্রের সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্য : আমলাদের দ্বারা পরিচালিত শাসনব্যবস্থার কতকগুলো বৈশিষ্ট্য বিরাজমান । বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ :
১. আমলাতন্ত্রের প্রশাসকরা উঁচু-নিচু স্তরে বিভক্ত থাকে। একটা দপ্তরের শীর্ষ বিন্দুতে থাকেন সর্বোচ্চ প্রশাসক এবং তার নিচে থাকেন বিভিন্ন স্তর ও মর্যাদার প্রশাসকেরা। নির্দেশ আসে উপর থেকে নীচে। একে বলে
Hierarchy বা উঁচু-নিচু স্তর বিভাগ।
২. প্রশাসকরা সবাই বেতনভুক্ত কর্মচারী। পদ অনুসারে বেতনক্রম নির্ধারিত হয়।
৩. আমলাদের ক্ষমতা তাদের পদের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক পদের ভূমিকাই তাদের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার উৎস । ব্যক্তিগত গুণাবলির জন্য কোনো বিশেষ ক্ষমতা থাকে না।
৪. আমলাদের নিয়োগ পুরোপুরি পেশাগত দক্ষতা বা যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়। অধিকাংশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই আমলা নিয়োগের জন্য বিশেষ পরীক্ষা পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন নিয়োগের মাধ্যমে আমলা নিয়োগ করা হয়।
৫. আমলা আইনের প্রতি আনুগত্যশীল। এরা নিয়মকানুনের মাধ্যমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
৬. আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনে সবকিছু নথিভুক্ত থাকে এবং সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হয় নথির ভিত্তিতে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আমলারা দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।