উত্তর : ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’ একটি প্রতীকী গল্প। করবী গাছটাই এখানে আত্মজার প্রতীক। করবী গাছে যে বিচি ফুলের হয়, তা বিষের আধার,-রুকুও তো পিতা কেশো-বুড়োর কাছে চিরায়ত এক বিষকাণ্ড। তাই ঘুরে ঘুরে এ গল্পে আসে করবী গাছের কথা-গল্পের নামকরণ থেকে পরিণতি পর্যন্ত। করবী গাছটাই যে হয়ে ওঠে যন্ত্রণার উৎস, ওটাই যে রুকুর মর্মদাহী অস্তিত্ব কেশো- বুড়োর হার্দিক বয়ানে তা উঠে এসেছে ভয়ানকভাবে ‘…. এখানে যখন এলাম- আমি প্রথমে একটা করবী গাছ লাগাই জন্যে নয়, বুড়ো বলল, বিচির জন্যে, বুঝেছ করবী ফুলের বিচির জন্যে। চমৎকার বিষ হয় করবী ফুলের বিচিতে।’ ‘আত্মজা’ ও ‘করবী গাছ’ বৃদ্ধের জীবনের সমার্থক। সুস্বাদু ফল প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মানুষ বৃক্ষরোপণ করে; এ গল্পের বৃদ্ধ রোপণ করেছে করবী গাছ, যার ফল বহন করে তীব্র তিক্ততা- হলাহল। কন্যার সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত অর্থে জীবন ধারণে বাধ্য হওয়া, তার কাছে করবী গাছের বিষময় ফল ভক্ষণের নামান্তর মাত্র। অন্যার্থে কন্যাটি করবী গাছ, তার অর্জিত অর্থ করবী গাছের ফল, তা গ্রহণ করে তিক্তভাবে বেঁচে থাকা যায় মাত্র- সফলভাবে বিকশিত হওয়া যায় না।