আঞ্চলিক ও ভৌগলিক পরিবেশ মানুষের জীবনধারাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে এবং বিশিষ্ট করে তোলে।
কিছু উল্লেখযোগ্য প্রভাব:
1. জীবিকা:
- কৃষি:
- জলবায়ু ও মাটির ধরন: ধান, গম, পাট, শাকসবজি ইত্যাদি বিভিন্ন ফসলের চাষের উপযোগিতা নির্ধারণ করে।
- নদী, খাল, পুকুর: সেচের জন্য জল সরবরাহ করে।
- বন: কাঠ, ফল, ওষুধি গাছ ইত্যাদির উৎস।
- মৎস্য:
- নদী, সাগর, খাল, বিল: মাছ ধরার প্রধান ক্ষেত্র।
- জলবায়ু: মাছের প্রজাতির বৈচিত্র্য নির্ধারণ করে।
- পশুপালন:
- চারণভূমি: পশু চরানোর জন্য জায়গা প্রদান করে।
- জলবায়ু: পশুর প্রজাতি নির্ধারণ করে।
- খনিজ সম্পদ:
- কয়লা, লৌহজাত খনিজ, তেল, গ্যাস:
- খনি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
- শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল সরবরাহ করে।
- কয়লা, লৌহজাত খনিজ, তেল, গ্যাস:
2. বসবাস:
- ভূপ্রকৃতি:
- পাহাড়ি, সমতল, উপকূলীয় – বিভিন্ন ধরণের বসবাসস্থল তৈরি করে।
- নদী, খাল:
- বন্যার ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
- জলসরবরাহ ও যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- জলবায়ু:
- বাসস্থানের নির্মাণশৈলী, পোশাক, খাদ্য, জীবনযাত্রার রীতিনীতি নির্ধারণ করে।
3. সংস্কৃতি:
- ঐতিহ্য:
- পোশাক, খাবার, উৎসব, ধর্মীয় বিশ্বাস, ভাষা, স্থাপত্য
- আঞ্চলিক পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত।
- শিল্পকলা:
- স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি হয়।
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।
4. মানসিকতা:
- প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক:
- পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সাহসী ও নির্ভীক মনোভাব,
- সমুদ্রতীরবর্তী জনগোষ্ঠীর উদার ও
- সমতলভূমির জনগোষ্ঠীর শান্তিপ্রিয় মনোভাব তৈরিতে ভূমিকা রাখে।