অষ্টম অধ্যায়, ন্যায়

ক-বিভাগ

ন্যায়দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর : মহর্ষি গৌতম ন্যায়দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা।
ন্যায়দর্শন প্রধানত কী নিয়ে আলোচনা করে?
উত্তর : ন্যায়দর্শন প্রধানত যথাযথ জ্ঞান লাভের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করে।
ন্যায়দর্শনে জ্ঞানকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর : ন্যায়দর্শর্নে জ্ঞানকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা : ক. প্রমা বা যথার্থ জ্ঞান এবং খ. অপ্রমা বা অযথার্থ জ্ঞান।
প্রমা বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : প্রমা বলতে বিষয়ের যথার্থ অনুভবকে বুঝায়।
যথার্থ জ্ঞান কী?
উত্তর : কোন বিষয়ে যে গুণ, সে গুণ জ্ঞাত বিষয়ের মধ্যে যথার্থ আছে এ রূপ জ্ঞানই যথার্থ জ্ঞান।
অযথার্থ জ্ঞান কী?
উত্তর : কোন বস্তুর মধ্যে যে গুণের অস্তিত্ব প্রকৃতপক্ষে নেই, কোন বস্তুতে সেই গুণ যখন আমরা জানি তখন আমাদের জ্ঞান অযথার্থ জ্ঞান।
নৈয়ায়িকদের মতে প্রমাণ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : নৈয়ায়িকদের মতে প্রমাণ চার প্রকার। যথা : ক. প্রত্যক্ষ (Perception), খ. অনুমান (Inference), গ. উপমান (Comparison) এবং ঘ. শব্দ (Testimony).
প্রত্যক্ষ কাকে বলে?
উত্তর : প্রত্যক্ষ হলো বিষয় এবং ইন্দ্রিয় সন্নিকর্ষজনিত বিষয়ে নিশ্চিত এবং যথার্থ জ্ঞান।
প্রত্যক্ষকে কয় শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?
উত্তর : প্রত্যক্ষকে দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যথা : ক. লৌকিক প্রত্যক্ষ এবং খ. অলৌকিক প্রত্যক্ষ ।
লৌকিক প্রত্যক্ষ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : লৌকিক প্রত্যক্ষ দুই প্রকার। যথা : ক. বাহ্য প্রত্যক্ষ এবং খ. মানস প্রত্যক্ষ।
অলৌকিক প্রত্যক্ষ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : অলৌকিক প্রত্যক্ষ তিন প্রকার। যথা : ক. সামান্যলক্ষণ প্রত্যক্ষ, খ. জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ ও গ. যোগজ প্রত্যক্ষ।
লৌকিক প্রত্যক্ষ কী?
উত্তর : চক্ষু,কর্ণ প্রভৃতি ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে যে প্রত্যক্ষ তাকে লৌকিক প্রত্যক্ষ বলে।
মানস প্রত্যক্ষ কী?
উত্তর : আত্মা, মনরূপ আন্তরিন্দ্রিয়ের মাধ্যমে মানসিক অবস্থার সাক্ষাৎ জ্ঞান লাভ করাকে মানস প্রত্যক্ষ জ্ঞান বলে।
লৌকিক প্রত্যক্ষের ক্ষেত্রে বিষয়ের সাথে ইন্দ্রিয়ের কী ঘটে?
উত্তর : লৌকিক প্রত্যক্ষের ক্ষেত্রে বিষয়ের সাথে ইন্দ্রিয়ের সন্নিকর্ষ ঘটে।
সামান্যলক্ষণ প্রত্যক্ষ কী?
উত্তর : মনুষ্যত্বের মাধ্যমে সকল মানুষকে প্রত্যক্ষ করাই হলো সামান্যলক্ষণ প্রত্যক্ষ।
জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ কী?
উত্তর : বস্তুর কোন বিশেষ গুণের প্রত্যক্ষ যে ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সাধারণত ঘটে থাকে তার দ্বারা না হয়ে যখন অন্য কোন ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে হয় তখন তাকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলে।
যোগজ প্রত্যক্ষ কী?
উত্তর : যোগীরা অলৌকিক শক্তির অধিকারী হওয়ার জন্য অতীত ও ভবিষ্যৎ, দূরবর্তী এবং অতি সূক্ষ্ম বস্তুও প্রত্যক্ষ করতে পারেন। একে যোগজ প্রত্যক্ষ বলে।
নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ কী?
উত্তর : নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ হলো কোন বস্তুর নিছক অস্তিত্ব সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা।
সবিকল্পক প্রত্যক্ষ কী?
উত্তর : সবিকল্পক প্রত্যক্ষ হলো বস্তুর ধর্ম বা জাতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা।
‘অণু’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘অণু’ শব্দের অর্থ পশ্চাৎ।
‘মান’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘মান’ শব্দের অর্থ হলো জ্ঞান।
অনুমান শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?
উত্তর : অনুমান শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো সেই জ্ঞান যে জ্ঞান অন্য জ্ঞানকে অনুসরণ করে।
প্রত্যেক অনুমানে কী কী থাকবেই?
উত্তর : প্রত্যেক অনুমানে তিনটি পদ এবং কমপক্ষে তিনটি তর্কবাক্য বা বচন থাকবেই।
অনুমানের অবয়ব কাকে বলে?
উত্তর : যে বচনগুলোর দ্বারা অনুমান গঠিত হয় সেই বচনগুলোকে অনুমানের অবয়ব বলে।
অনুমানের পদ তিনটি উল্লেখ কর।
উত্তর : অনুমানের পদ তিনটি নিম্নরূপ : ক. সাধ্য (Major term); খ. পক্ষ (Minor term) এবং গ. হেতু
(Middle term)।
হেতুর অপর নাম কী?
উত্তর : হেতুর অপর নাম লিঙ্গ বা সাধন।
সাধ্য কী?
উত্তর : যা অনুমিত হয় তাকে সাধ্য বলে।
পক্ষ কী?
উত্তর : যার মধ্যে সাধ্যের অস্তিত্ব অনুমান করা হয় তাকে পক্ষ বলে।
নৈয়ায়িকদের মতে চতুর্থ প্রমাণ কোনটি?
উত্তর : নৈয়ায়িকদের মতে চতুর্থ প্রমাণ হলো শব্দ।
নৈয়ায়িকদের মতে শব্দ কী?
উত্তর : নৈয়ায়িকদের মতে শব্দ হলো বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির বচন বা আপ্তবাক্য।
শব্দতত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তি কে?
উত্তর : শব্দের প্রকৃত অর্থ যিনি অবহিত, যিনি জ্ঞানী, সত্যবাদী এবং বিশ্বাসযোগ্য- তিনিই শব্দতত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তি, তিনিই আপ্ত ।
নৈয়ায়িকরা কয়টি প্রমেয় স্বীকার করেন?
উত্তর : নৈয়ায়িকরা ১২টি প্রমেয় স্বীকার করেন।
নৈয়ায়িকরা কোন ১২টি প্রমেয় স্বীকার করেন?
উত্তর : নৈয়ায়িকরা যে ১২টি প্রমেয় স্বীকার করেন সেগুলো হলো : আত্মা, শরীর, ইন্দ্রিয়, বিষয় বা অর্থ, বুদ্ধি, মন,
প্রবৃত্তি, দোষ, প্রেত্যভাব, ফল, দুঃখ এবং অপবর্গ।
চেতনা আত্মার কী?
উত্তর : চেতনা আত্মার ধর্ম।
ন্যায়দর্শন কোন মতবাদী দর্শন?
উত্তর : ন্যায়দর্শন আস্তিক বস্তুবাদী দর্শন।
সংশয় নিরসন করে সিদ্ধান্ত স্থাপন করার উপায়কে কী বলে?
উত্তর : সংশয় নিরসন করে সিদ্ধান্ত স্থাপন করার উপায়কে ন্যায় বলে।
ন্যায় ককে বলে?
উত্তর : যুক্তিতর্কের সাহায্যে অপরকে কিছু বলতে গেলে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, সেই পদ্ধতিকে ন্যায় বলে ।
ন্যায়দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর : মহর্ষি গৌতম ন্যায়দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা।
মহর্ষি গৌতম কী নামে পরিচিত?
উত্তর : মহর্ষি গৌতম অক্ষপাদ নামে পরিচিত।
মহর্ষি গৌতম এর নামানুসারে ন্যায়দর্শনকে কী বলা হয়?
উত্তর : মহর্ষি গৌতম এর নামানুসারে ন্যায়দর্শনকে অক্ষপাদ দর্শনও বলা হয়।
`ন্যায়দর্শন প্রধানত কী নিয়ে আলোচনা করে?
উত্তর : ন্যায়দর্শন প্রধানত যথাযথ জ্ঞানলাভের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করে।
যথার্থ জ্ঞান লাভের প্রণালিকে বলা হয়?
উত্তর : যথার্থ জ্ঞানলাভের প্রণালিকে ‘প্রমাণ’ বলা হয় ।
ন্যায়দর্শনকে প্রমাণশাস্ত্রও বলা হয় কেন?
উত্তর : ন্যায়দর্শন ‘প্রমাণ’ নিয়ে আলোচনা করে বলে, ন্যায়দর্শনকে প্রমাণশাস্ত্রও বলা হয়।
‘আন্বীক্ষিকী’ কোন দর্শনের নাম?
উত্তর : ‘অন্বীক্ষিকী’ ন্যায়দর্শনের নাম।
অন্বীক্ষা কী?
উত্তর : প্রত্যক্ষ বা শ্রুতির সাহায্যে যা জানা যায়, সেই বিষয় পরে আলোচনা করার নাম হলো অস্বীক্ষা।
ন্যায়দর্শনের ভাষ্যকার বাৎসায়ন আম্বীক্ষিকী বিদ্যাকে কী বলে অভিহিত করেছেন?
উত্তর : ন্যায়দর্শনের ভাষ্যকার বাৎসায়ন আন্বীক্ষিকী বিদ্যাকে ‘সকল বিদ্যার প্রদীপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় দর্শনের প্রধান আলোচ্যবিষয় কী?
উত্তর : কিভাবে মানুষ তার জীবনের পরমার্থ বা মোক্ষ লাভ করতো তাহলো ভারতীয় দর্শনের প্রধান আলোচ্যবিষয়।
ইক্ষা অর্থ কী?
উত্তর : ইক্ষা অর্থ দর্শন।
ন্যায়দর্শনের প্রথম রচনা কোনটি?
উত্তর : ন্যায়দর্শনের প্রথম রচনা ‘ন্যায়সূত্র’।
‘ন্যায়সূত্র’-গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘ন্যায়সূত্র’-গ্রন্থের রচয়িতা হলেন মহর্ষি গৌতম।

খ-বিভাগ

প্রশ্ন॥১॥ ন্যায়দর্শনে প্রত্যক্ষ কী?
প্রশ্ন॥২॥ন্যায়দর্শনে প্রত্যক্ষের শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
প্রশ্ন।৩।ন্যায়দর্শনে লৌকিক প্রত্যক্ষ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৪॥ন্যায়দর্শনে অলৌকিক প্রত্যক্ষ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
প্রশ্ন।৫।উপমান কাকে বলে?
প্রশ্ন॥৬॥অন্নম ভট্টের মতানুসারে উপমান প্রমাণের স্বরূপ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৭॥শব্দ কাকে বলে?
প্রশ্ন৷৮।অন্নম ভট্টের মতানুসারে উপমান বা শব্দ প্রমাণের স্বরূপ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৯॥উপমান ও শব্দ কাকে বলে?
প্রশ্ন।১০।তর্ক সংগ্রহ অনুসারে কারণতত্ত্ব কী?
প্রশ্ন।১১।তর্ক সংগ্রহ অনুসারে কারণ কত প্রকার ও কী কী?
প্রশ্ন॥১২৷ তর্ক সংগ্রহ অনুসারে সমবায়ী কারণ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৩৷তর্ক সংগ্রহ অনুসারে অসমবায়ী কারণ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৪৷ তর্ক সংগ্রহ অনুসারে নিমিত্ত কারণ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৫।তর্ক সংগ্রহ অনুসারে অসৎকার্যবাদ কী?
প্রশ্ন॥১৬৷ ন্যায়দর্শনে ঈশ্বর কী?

গ-বিভাগ

প্রশ্ন॥১॥ন্যায়দর্শনে প্রত্যক্ষ প্রমাণতত্ত্বের একটি সমালোচনামূলক ব্যাখ্যা দাও।
প্রশ্ন।২।উপমান কাকে বলে? অন্নম ভট্টের মতানুসারে উপমান প্রমাণের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৩।শব্দ কাকে বলে? অন্নম ভট্টের মতানুসারে উপমান বা শব্দ প্রমাণের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৪॥উপমান ও শব্দ কাকে বলে? অন্নম ভট্টের মতানুসারে উপমান ও শব্দ প্রমাণের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৫।তর্ক সংগ্রহ অনুসারে কারণতত্ত্ব ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৬।ন্যায়দর্শনে ঈশ্বর কী? ন্যায় অনুসারে ঈশ্বরের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
প্ৰশ্ন৷৭।ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে নৈয়ায়িকদের যুক্তিগুলো আলোচনা ও মূল্যায়ন কর।
প্রশ্ন॥৮॥ন্যায় ঈশ্বরতত্ত্ব ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৯।ন্যায়দর্শনে ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তির স্বরূপ আলোচনা কর।
প্রশ্ন।১০।ন্যায়দর্শনে ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তিকে কীভাবে জানা যায়? আলোচনা কর।