অভ্যন্তরীণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণগুলো উলেখ কর।

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন

অথবা, অভ্যন্তরীণ অসুবিধাগুলো আলোচনা কর।

উত্তর: ভূমিকা: উৎপাদনের আয়তন বৃদ্ধি করতে থাকলে প্রথম অবস্থায় অভ্যন্তরীণ এবং ব্যহ্যিক সুবিধা লাভ করার ফলে ব্যয় সংকোচ ঘটে। একথা যেমন সত্য তেমনি একটি ফার্ম সীমাহীনভাবে সুবিধা ভোগ করতে পারে না।

উৎপাদনের আয়তন্ন বৃদ্ধির একটি পর্যায়ের পর নানা কারণে শিল্পের ভিতর এবং বাহির থেকে অসুবিধা বা বাঁধার সম্মুখীন হাতে হয়।

অভ্যন্তরীণ অসুবিধা: কোন প্রতিষ্ঠান বা ফার্ম উৎপাদনের আয়তন বৃদ্ধির একটি পর্যায়ের পর শিল্পের ভিতর থেকে বা উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের ভিতর থেকে যেসব অসুবিধা বা বাঁধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়, তাদেরকে অভ্যন্তরীণ অসুবিধা বা অমিতব্যয়িতা বলা হয়। যেমন-

(ক) পরিচালনাগত অসুবিধাঃ উৎপাদনের আয়তন বৃদ্ধির একটি সীমার পর ব্যবস্থাপনাগত বা পরিচালনাগত সমস্যা “দেখা দেয়, তখন LAC বৃদ্ধি পায়। যেমন- একজন ম্যানেজারের পক্ষে হয়তো উৎপাদনের পাঁচটি ইউনিট সর্বোচ্চ দক্ষতার সথে পরিচালনা করা সম্ভব হবে না কিংবা তখন অতিরিক্ত আরও একজন ম্যানেজার নিয়োগ করতে হবে। এ উভয় কারণে গড় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেতে থাকে, একে পরিচালনাগত বা ব্যবস্থাপনাগত অসুবিধা বলা হয়।

(খ) যান্ত্রিক অসুবিধা: একটি নির্দিষ্ট সীমার পর উৎপাদনের আয়তন আরও বৃদ্ধি করলে বর্তমান মূলধন অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ে কিংবা অনেক সময় অকার্যকর হয়ে পড়ে। এর ফলে উৎপাদনের গড় ব্যয় বৃদ্ধি পেতে থাকে, একে পরিচালনাগত বা ব্যবস্থাপনাগত অসুবিধা বলা হয়।

(গ) আর্থিক অসুবিধা: শিল্প প্রতিষ্ঠানের আয়তন অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি করতে চাইলে অধিক পরিমাণে অর্থেরও প্রয়োজন হয়। এর ফলে মূলধন বাজারে সুদের হার বাড়ে অর্থাৎ ঋণ সংগ্রহের ব্যয় বাড়ে। তখন ব্যয় বৃদ্ধি পেতে থাকে। উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, উপরোক্ত অভ্যন্তরীণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণগুলো যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণে ভিতর থেকে প্রতিবন্ধকতা বা অসুবিধা সৃষ্টি করে থাকে।