অথবা, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ কী?
উত্তর: “মুজিব-ইয়াহিয়া আলোচনায় সমাধান না আসার পরিপ্রেক্ষিতে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গোপনে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করে। একদিকে আলোচনার আয়োজন চললেও, অন্যদিকে তীব্র গতিতে অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল। অবশেষে, ২৫ মার্চ রাতে টিক্কা খান ও তার সহযোগীরা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামক নীল নকশা প্রণয়ন করে।”
অপারেশন সার্চলাইট : ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে নির্মম গণহত্যা অভিযান চালিয়েছিল, তাকেই ইতিহাসে অপারেশন সার্চলাইট হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই অভিযান ছিল পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করার জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি পরিকল্পিত সামরিক অভিযান। ২৫শে মার্চ রাতের অন্ধকারে হাজার হাজার পাকিস্তানি সেনা, ট্যাঙ্ক এবং আর্টিলারি দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান শহর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে আক্রমণ চালানো হয়। তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল টিক্কা খানের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।
উপসংহার : পরিশেষে, বাঙালি জাতি এই বিপর্যস্ত সময়ে নিজেদের ভূক্ত দাঁত ভাঙার জবাব দিয়েছে। যুদ্ধের মাধ্যমে তারা তাদের স্বাধীনতা এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এবং শত্রু শাসনে বাংলাদেশের মুক্তির দিকে এগিয়েছেন। তবে, এই ঐতিহাসিক দলিলে দেখা যায় যে, বাঙালি এখনও তাদের মনে স্বস্তি নেই এমন ধারণা রেখেছে, একটি নব্য হানাদার বাহিনী প্রতিরোধের জন্য।