অথবা, অগাস্ট কোঁৎকে কেন সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় তার যৌক্তিক ভিত্তি কী?
অথবা, সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে অগাস্ট নাম কতটা যৌক্তিক?
উত্তর৷ ভূমিকা : মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশে যে সমস্ত মনীষী সমাজ সম্পর্কে গবেষণা করেছেন তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন অগাস্ট কোঁৎ। তিনিই সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কীয় বিক্ষিপ্ত চিন্তা, দর্শন ও তত্ত্বসমূহ একটি বিশেষ বিজ্ঞানের অধীনে এনে সামাজিক বিজ্ঞানের ভিত্তি ও দৃষ্টিকোণ তৈরি করেছেন।
সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে অগাস্ট কোঁৎ : সমাজ সম্পর্কিত আলোচনার সূত্রপাত অতীত থেকে শুরু হলেও বিজ্ঞানসম্মত আলোচনার সূত্রপাত ঘটান ফরাসি দার্শনিক August Comte [1798-1857]. তিনি সমাজবিজ্ঞানের আদিগুরু হিসেবে পরিচিত। তিনি মানব জ্ঞানের প্রকৃতি অনুসন্ধানে আত্মনিয়োগ করেছেন। সেজন্য তাঁকে বিজ্ঞানের দার্শনিকও বলা হয়।
August Comte সর্বপ্রথম ‘Sociology’ শব্দটির জন্ম দেন। যা ল্যাটিন শব্দ Societias এবং গ্রিক শব্দ Loges এর সমন্বয়ে গঠিত। ‘Societias’ শব্দের অর্থ সমাজ এবং Logos শব্দের অর্থ বিজ্ঞান। অর্থাৎ, সমাজবিজ্ঞান হলো Science of Society বা সমাজের বিজ্ঞান। এ বিজ্ঞানের নামকরণ বা উৎপত্তি হয় ১৮৩৯ সালে। August Comte রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Positive Philosophy’ ও ‘Polity’ তে সমাজ বিশেষণে Positive method এর কথা উলেখ আছে। August Comte সমাজের উৎপত্তির ক্রমবিকাশকেও তাঁর Scientific method দ্বারা ব্যাখ্যা করেছেন। এজন্য এ মনীষীকে তাঁর মৌলিক অবদানের জন্য সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার শেষে বলা যায় যে, আধুনিক শিল্প সমাজে কোঁৎ এর তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণরূপে সমাজবিজ্ঞানের গবেষণা পদ্ধতিতে কার্যকর না হলেও সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের মর্যাদা তিনিই দিয়েছেন। এ মনীষী এমন ব্যক্তি যিনি সমাজ সম্পর্কে সুস্পষ্ট কারণ অনুসন্ধানে সর্বোচ্চ আত্মনিয়োগ করেছিলেন।