✍️বাংলাদেশের কৃষির সম্প্রসারণে কৃষি ঋণের ও খাদ্য শস্য বিতরণের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।

[ad_1]

✍️বাংলাদেশের কৃষির সম্প্রসারণে কৃষি ঋণের ও খাদ্য শস্য বিতরণের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।

উত্তর ভূমিকা : আমাদের কৃষি ঋণ ও খাদ্যশস্য বিতরণ দুটো বিষয়ই অর্থনীতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ।

কৃষি ঋণ : বাংলাদেশের কৃষি ভরণপোষণ পর্যায়ে পরিচালিত হচ্ছে বিধায় প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবে কৃষি ঋণ একটি ভিন্ন মাত্রায় গুরুত্ব বহন করে । দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার তথা সার্বিক আর্থ – সামাজিক উন্নয়নে কৃষি খাতের এবং পল্লি অঞ্চলের ভূমিকা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে কৃষি ও পল্লি ঋণ – এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ।

এ প্রেক্ষিতে ব্যাংক ও অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে । প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষি ঋণ কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে সম্প্রতি বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকসহ বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংককে কৃষি ঋণ কার্যক্রমের পাশাপাশি কৃষি ঋণ বিতরণ সহজতর করে ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ অর্থবছরে ১১৫১২৩০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১১১১.৬৮৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছিল । ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক , রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক , চারটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক , বিআরডিবি , বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লি : এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মাধ্যমে মোট ১২৬১৭.৪০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় , যার মধ্যে চলতি অর্থবছরে মার্চ , ২০১১ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৯.১৫৪.৭০ কোটি টাকা যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় শতকরা ৭২.৫৬ শতাংশ ।

সরকারি খাদ্যশস্য বিতরণ : সরকার পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশনে সিস্টেম বিভিন্ন চ্যানেলে নির্ধারিত আয়ের সরকারি কর্মচারী ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে । এর আওতায় আর্থিক খাতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বা অনার্থিক খাতে ( টিআর , ভিজিএফ , ভিজিডি , জিআর ও অন্যান্য ) খাদ্য শস্য বিতরণের সংস্থান রাখা হয় । চলতি ২০১০ – ১১ অর্থ বছরের বাজেটে সরকারিভাবে ২৭.২৯ লক্ষ মেট্রিক টন ( গম ০.৫০ চাল ৫.০০ লক্ষ মেট্রিক টন ) খাদ্যশস্য ও এমএস । ন্যায্য মূল্য কার্ড / পোশাক , শিক্ষা ইত্যাদি মূল্য নিয়ন্ত্রণমূলক খাতে বিতরণের জন্য নির্ধারিত আছে । চলতি অর্থ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর্থিক খাতে মোট ৫.৩৭ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে এবং অনার্থিক খাতে ২.৯৬ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য বিতরণ করা হয়েছে । মোট বিতরনের পরিমাণ ৮.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় , কৃষি ঋণ ও খাদ্য শস্য বিতরণ আমাদের দেশে পর্যাপ্ত নয় ।

✍️বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খাদ্যশস্যের গুরুত্ব বর্ণনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্যে এখনো বৃহত্তম খাত কৃষি । দেশের জি.ডি.পি.তে কৃষিখাতের অবদান প্রায় ২৮ % এবং কৃষিতে মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৪৩ % নিয়োজিত আছে । কৃষিখাতের প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য হচ্ছে খাদ্যশস্য । বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এ খাদ্যশস্যের গুরুত্ব নিম্নরূপে অনুধাবন করা যায় ।

১. খাদ্যশস্য উৎপাদনে নিয়োজিত ভূমি : বাংলাদেশের চাষযোগ্য জমির প্রায় ৯০ % খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য নিয়োজিত আছে । শুধু ধান উৎপাদনে ২০০৯-১০ অর্থবছরে নিয়োজিত ভূমির পরিমাণ ছিল ২৮২.৩৬ লক্ষ একর । অনুরূপভাবে গম , ডাল ও তৈলবীজের উৎপাদনে ঐ বছর যথাক্রমে ৯.২২ ৫.৯৩ ও ৮.৭০ লক্ষ একর ভূমি নিয়োজিত ছিল ।

২. জাতীয় আয়ের অবদান : বাংলাদেশে জি.ডি.পি এর প্রায় ১২ % অবদান রাখে শস্য । খাদ্যশস্যের মধ্যে ধান প্রধান শস্য । মোট খাদ্যশস্যের প্রায় ৯০ % হচ্ছে ধান ।

৩. কর্মসংস্থানে অবদান : বাংলাদেশের কৃষিতে মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৪৩ % কর্মসংস্থান পায় । কিন্তু কৃষিখাতে নিয়োজিত শ্রমশক্তির প্রায় তিন চতুর্থাংশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে নিয়োজিত আছে । অতএব খাদ্যশস্যের উৎপাদন অর্থনীতির কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ।

৪. খাদ্যের যোগান : বাংলাদেশের জনগণের আয়ের প্রায় ৮০ % ব্যয় হয় খাদ্য ক্রয়ে । আর এ খাদ্যের যোগান দেয় কৃষি খাত । বাংলাদেশের জনগণের খাদ্যাভাসের মধ্যে খাদ্যশস্যের গুরুত্ব সর্বাধিক । আমাদের কৃষিতে যে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয় তা দ্বারা দেশের প্রয়োজন পূরণ হয় না । বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ টন খাদ্য শস্য আমদানি করতে হয় । অতএব এদেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন অতি গুরুত্বপূর্ণ । ২০০৯-১০ অর্থবছরে সরকারি খাতে ৫.৫৬ লক্ষ মে . টন ও বেসকারিখাতে ২৮.৯৯ লক্ষ মে . টন ।

৫. রপ্তানি : সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কিছু উন্নতমানের চাল রপ্তানি আরম্ভ হয়েছে । দেশে খাদ্যশস্যের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও উন্নতমানের চালের কিছু উদ্বৃত্ত আছে । অতএব উন্নতমানের চাল রপ্তানির মাধ্যমেও খাদ্যশস্য উৎপাদনের গুরুত্ব প্রকাশ পাচ্ছে ।

উপসংহার : অতএব বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে এটি প্রতীয়মান হয় যে , বাংলাদেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন অতি গুরুত্বপূর্ণ । তবে অধিক পরিমাণে ধান উৎপাদনের ফলে বিগত কয়েক বছরে ধানের দাম ন্যায্য স্তরের নিচে পড়ে যেতে দেখা যায় ।

✍️ এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা / বার্ড ফ্লু প্রাণি সম্পদ আইনের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর ।

উত্তর : এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা / বার্ড ফু : ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাভারস্থ বিমান পোল্ট্রি কমপ্লেক্স এ প্রথম এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা / বার্ড ফ্লু সনাক্ত হওয়ার পর থেকে এর বিস্তার রোধ ও এর কারণে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি প্রতিরোধকল্পে এ পর্যন্ত ১৮,৪৮,৬৬০ টি হাঁস মুরগি এবং ২৫,৩১,৮২৯ টি ডিম ধ্বংস করা হয়েছে এবং খামারিদের ভিতর ১৪.৭৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে । এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ সনাক্তকরণ ও ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর স্থাপিত হয়েছে ওয়েবভিত্তিক এস.এম. এস গেইটওয়ে সিস্টেম যার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ করা হয়েছে বা হচ্ছে ।

প্রাণিসম্পদ আইন : দেশের প্রাণী খাদ্যের গুণগতমান রক্ষা ও ভেজালমুক্ত খাদ্য তৈরির জন্য ‘ মৎস্য ও প্রাণিখাদ্য আইন ২০১০ ‘ অনুমোদিত হয়েছে । এছাড়া ‘ বাংলাদেশ চিড়িয়াখানা আইন ২০০৯ এবং প্রাণী জবাই ও মাংসের মাননিয়ন্ত্রণ আইন ‘ প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে । দেশে আধুনিক প্রাণী চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৬৪ টি জেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত জেলা প্রাণী হাসপাতালগুলোতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সুবিধার পাশাপাশি খামারীদের পোল্ট্রি ও গবাদি প্রাণীর খাদ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হচ্ছে । উপজেলা ভেটেরিনারি ডিপেনসারি কেন্দ্র হতেও রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সুবিধার পাশাপাশি ক্ষুদ্র খামারী ও কৃষকগণের গবাদি প্রাণী , হাঁস – মুরগি লালন পালনের উপর প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ সেবা প্রদান করা হচ্ছে ।

✍️মৎস্য উৎপাদনে মাছের রেনু ও পোনা উৎপাদনের উপর একটি সংক্ষিপ্ত টাকা লিখ ।

উত্তর : মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ বৃদ্ধি করা এ খাতের একটি অন্যতম লক্ষ্য । এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে । উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হচ্ছে সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণ , খাদ্য জলাশয়ে মৎস্যজীবীদের প্রবেশাধিকবার নিশ্চিতকরণ , বিল নার্সারি কার্যক্রম গ্রহণ ও মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ , মৎস্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি , ঘের ও খাঁচায় মাছ চাষ কার্যক্রম সম্প্রসারণ , ভরাট হয়ে যাওয়া নদী পুনঃখনন করে মাছের আবাসস্থল পুনরুদ্ধার এবং গবেষণার মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ ।

উল্লেখ্য ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশের মোট মৎস্য সম্পদ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৮.৯৯ লক্ষ মেট্রিক টন । ২০১০-১১ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩১ লক্ষ মেট্রিক টন । মাছের রেনু ও পোনা উৎপাদন : মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রধান শর্তই হচ্ছে গুণগত মানসম্পন্ন পোনার সহজলভ্যতা , পরিবেশ ও মানুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা যেমন অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ , শস্য ক্ষেত্রে কীটনাশকের অপরিমিত ও অবাধ ব্যাবহার , পানি দূষণ ইত্যাদি নানাবিধ কারণে প্রাকৃতিক উৎসে রেনু উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে । বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্রসমূহ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ।

বর্তমানে হ্যাচারিগুলোতে রেনু উৎপাদনে অন্তঃপ্রজনন সমস্যা নিরসনে মৎস্য অধিদপ্তর ৩২ টি সরকারি খামারের অবকাঠামোগত উন্নয়নপূর্বক প্রাকৃতিক উৎস্য হতে পোনা সংগ্রহের পর তা যথাযথভাবে পালন করে গুণগত সম্পন্ন ব্রুড মাছ উৎপাদন করছে । এতে পোনার গুণগতমান নিশ্চিত হচ্ছে । সম্পন্ন ব্রুড মাছগুলো স্বল্পমূল্যে অন্যান্য বেসরকারি হ্যাচারিগুলোতে বিতরণ করা হচ্ছে । বর্ধিত পোনার চাহিদা পূরণের জন্য বর্তমানে দেশে ১২০ টি সরকারি মৎস্য বীজ , উৎপাদন খামারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে ৮৬২ টি হ্যাচারি পরিচালিত হচ্ছে ।

✍️বাংলাদেশে মৎস্য খাতের উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের কর্মসূচির একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।

উত্তর : জাটকা সংরক্ষণের কর্মসূচি : প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট সাত মাস জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে । জাটকা আহরণকারী মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থান টেকসই ভিত্তিতে পরিচালনায় নিমিত্ত ইলিশ অভয়াশ্রম সন্নিহিত ৪ টি জেলায় ৫ বছর মেয়াদি জাটকা সংরক্ষণ , জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণা প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়িত হচ্ছে । এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ২০০৯ ও ২০১০ সালে প্রকল্পভুক্ত উপজেলাসমূহে জাটকা আহরণকারী অপেক্ষাকৃত দরিদ্র মৎস্যজীবীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে ।

বিগত দুই বছরে জাটকা আহরণের বিরত থাকা জেলেদের আর্থ – সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ৪৩৩৮ টি জেলে পরিবারকে ২০০৯ সালে ৩.০০ কোটি টাকা এবং ৬৬০৯ টি জেলে পরিবারকে ৪.৬২ কোটি ব্যয়ে উপকরণ সহায়তা প্রদান এবং প্রশিক্ষণ বাবদ যথাক্রমে ৪৩.০০ লক্ষ টাকা ও ৬৫.০০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে করা হয়েছে । ঘোষিত ৪ টি ইলিশ অভয়াশ্রম সংরক্ষণের নিমিত্তে বিভিন্ন গণমাধ্যম যথাযথ প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করে ব্যাপক জ্ঞানসচেতনা সৃষ্টি করা হয়েছে ।

শরীয়তপুর জেলায় নতুন একটি ইলিশ সংরক্ষণ ও অবাধ প্রজনন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যেগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী , বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এবং BFRI এর অংশগ্রহণের বিশেষ সমন্বিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে । জাটকা সংরক্ষণ অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা এবং ইলিশ প্রজনন সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং এর ফলে ২০০৯ – ২০১০ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ৩.১৩ লক্ষ মেট্রিক টন এ পৌঁছেছে , যা ২০০৮ ২০০৯ অর্থবছরে ছিল ২.৯৮ লক্ষ মেট্রিক টন ।

✍️বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।

উত্তর : প্রাণিসম্পদ : দেশজ প্রোটিনের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মাছ , দুধ , মুরগি , গবাদি , প্রাণী উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ । গবাদি প্রাণী ও হাঁস মুরগির টিকা উৎপাদন ও সম্প্রসারণ , স্বল্পমূল্যে হাঁস – মুরগির বাচ্চা সরবরাহ , জাত উন্নয়নের জন্য উৎপাদিত তরল ও হিমায়িত সিমেন দ্বারা কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম , এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ প্রভৃতি প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণায়ের হিসাব অনুযায়ী ২০১০-১১ অর্থবছরে গবাদি প্রাণী ও হাঁস মুরগির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে যথাক্রমে ৫ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ও ২৭ কোটি ৮৮ লক্ষ ৬ হাজার । প্রাণিসম্পদ উপখাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি : ২০১০-১১ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রাণিসম্পদ উপখাতে ১৬ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১৫৩.৯১ কোটি টাকা ( সম্পদে ৭০.৪০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৮৩.৫১ কোটি টাকা) বরাদ্দ রয়েছে । তন্মধ্যে মার্চ , ২০০১ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে , ৭১.৪০ কোটি টাকা , যা বরাদ্দের ৪৬ শতাংশ ।

[ উৎস : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা -২০১১ ]

[ad_2]