Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

সাহসা হৃৎপিণ্ডকে কে যেন একটা কঠিন মুষ্টির তলে চাপিয়া ধরিল এবং বেদনায় ভিতরটা টনটন করিয়া উঠিল।”— ব্যাখ্যা কর।

অথবা, সেকেন্ড মাস্টার সর্বপ্রথম কখন সুরবালার জন্য বেদনা অনুভব করেন?
উত্তর :
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘একরাত্রি’ গল্পে গল্পকথক তাঁর অতীত জীবনের কথা বলেছেন। তাঁর বাল্যসঙ্গী ছিল সুরবালা। সুরবালার প্রতি অন্যদের অপেক্ষা তার দাবি ছিল বেশি। তারা একত্রে পাঠশালায় যেত, বউ বউ খেলতো। দুই পরিবার থেকেই তাদের বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি ছিল। লেখক কলকাতায় পালিয়ে যায় এবং পড়ালেখা করে কালেক্টার সাহেবের নাজির অথবা জজ আদালতের হেডক্লার্ক হতে চান। কিন্তু একসময় গল্পকথক দেশের জন্য প্রাণবিসর্জন দিতে বা মাসীনি গারিবালডি হওয়ার আয়োজন করে। এদিকে লেখকের পিতা ও সুরবালার পিতা সুরবালার সাথে তার বিয়ের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয় আর গল্পকথক আজীবন বিয়ে না করে স্বদেশের জন্য প্রাণবিসর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সুরবালার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। পিতার মৃত্যুর পর লেখক নওয়াখালির ছোট শহরে এনট্রেন্স স্কুলের সেকেন্ড মাস্টারি পদপ্রাপ্ত হয়। এ এলাকার উকিল রামলোচন বাবুর স্ত্রী হলো সুরবালা গল্পকারের ছোটবেলার খেলার সাথী। একদিন গল্পকথক রামলোচন বাবুর বাড়িতে গিয়ে সুরবালাকে আবিষ্কার করে। আর তখন তার স্মৃতিতে ভেসে উঠে অতীতের নানা স্মৃতি যা সুরবালার সাথে জড়িয়ে আছে। তিনি গভীর বেদনা অনুভব করলেন এবং তার কাছে ভীষণভাবে মনে হলো কে যেন তার হৃৎপিণ্ডটাকে গভীর মুষ্টির চাপ দিয়ে ধরে আছে।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!