সামাজিক সমস্যা শনাক্তকরণে বিবেচ্য বিষয়গুলো লিখ।

অথবা, কোন কোন বিষয় বিবেচনা করে সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়।
অথবা, সামাজিক সমস্যা চিহ্নিতকরণের বিষয়সমূহ কী কী?
অথবা, সামাজিক সমস্যা নির্ণয়ের বিবেচ্য দিকসমূহ লিখ।
উত্তরায় ভূমিকা :
সামাজিক গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপসমূহ হচ্ছে গবেষণার সমস্যাকে চিহ্নিত করা ও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা। প্রতিনিয়ত আমরা নানাবিধ ঘটনাগুলোর মধ্যে কার্যকরণ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করি। এ সকল সমস্যার মধ্যে যেটি আমাদের আকৃষ্ট করে তা নিয়ে গবেষণা করি এবং এর সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করি।
সামাজিক সমস্যা শনাক্তকরণে বিবেচ্য বিষয় : সামাজিক সমস্যা চিহ্নিতকরণের জন্য নিম্নলিখিত বিষয় বিবেচনায় আনা অপরিহার্য :
১. প্রথম বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে তাত্ত্বিক বা প্রায়োগিক দিক থেকে গবেষণা বিষয়টি কোনো তাৎপর্য বহন করে কিনা।
২. সমস্যাটি গবেষকের বা পাঠকের যথেষ্ট আগ্রহ সৃষ্টি করতে সক্ষম কিনা|
৩. সমস্যাটি আর্থসামাজিক নাকি অন্য কোন বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত ।
৪. সমস্যাটি বর্তমান সময়োপযোগী কি না।
৫. অনুমোদিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে কিনা।
৬. সমস্যাটি বাস্তবায়নযোগ্য কি না।
৭. সমস্যাটি একাধিক চলকের মধ্যে সম্পর্ক নির্দেশ করে কিনা।
৮. সমস্যাটি সমাজে কতখানি এবং কিভাবে ছড়িয়ে আছে, কোন শ্রেণি এ সমস্যায় জর্জরিত এবং কারা এ সমস্যাটি সম্পর্কে সচেতন তা অবহিত হওয়া যাবে কিনা
৯. গবেষণাটি পরিচালনা এবং তথ্যসংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা আছে কি না ।
১০. গবেষকের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া যাবে কিনা ।
১১. গবেষণা বিষয়ের প্রাসঙ্গিক ও নির্ভরযোগ্য পর্যাপ্ত উপাত্ত (Available data) পাওয়া যাবে কি না কি
১২. সমস্যাটি অভিজ্ঞতামূলক পরীক্ষার যোগ্য কিনা।
১৩. সমস্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরিধি বা সীমা বিবেচনা করা ।
১৪. গবেষকের নিজস্ব যোগ্যতা এবং দক্ষতার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।
১৫. প্রশ্নটির কমপক্ষে দুটি সম্ভাব্য বিশ্বাসযোগ্য উত্তর পাওয়া যাবে কিনা।
১৬. গবেষণা কর্মটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ তত্ত্বাবধায়ক (Supervisor) পাওয়ার বিষয়টিও
বিবেচনায় রাখতে হবে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, উপরিউক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনাপূর্বক সামাজিক সমস্যা শনাক্ত করা হয় ।