অথবা, শ্রেণিবদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার বহির্ভূক্ত পদ্ধতির আলোচনা কর ।
অথবা, শ্রেণিবদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার বহির্ভূক্ত পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : প্রাথমিক উৎস থেকে সংগৃহীত উপাত্তগুলোকে প্রকাশ করার জন্য গণসংখ্যা সারণি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় । উপাত্তের ভিন্নতা এবং কার্যকরী ফল লাভের জন্য বিভিন্ন সহ-পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয় ।
বহির্ভুক্ত পদ্ধতি : কোনো শ্রেণির ঊর্ধ্বসীমা পরবর্তী শ্রেণির নিম্নসীমা হিসেবে ব্যবহৃত হলে তাকে বহির্ভুক্ত পদ্ধতি বলে । এক্ষেত্রে কোনো শ্রেণির ঊর্ধ্বসীমাকে তার বহির্ভুক্ত হিসেবে ধরা হয়। এর ফলে উক্ত সীমা পরবর্তী শ্রেণির নিম্নসীমা হিসেবে ধরা হয়। একটি সারণির মাধ্যমে এটি উপস্থাপন করা হলো :
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhoDIeK3NykkoyT1AYNV7weWCYP0-nYBc1yrN7STStlIanzAm8tfbMftp7C9WowQir_8VISvGnQbt5_Yl4bDqETH6zBeYFhPeXxbhjXFWMYejcz64absNEKhYTRYnmILaugBwobxj4hhdRhIRjhPyxo6Fb8gkbh1_SI7LSbXaxiomwiRnWKfMZzCa-o5A/s1911/Document_1.jpg)
এখানে প্রথম শ্রেণির ঊর্ধ্বসীমা ৪০০ এ শ্রেণির বহির্ভুক্ত হিসেবে ধরা হয়। দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৪০০ নিম্নসীমা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে । অর্থাৎ, পূর্ববর্তী শ্রেণির ঊর্ধ্বসীমা পরবর্তী শ্রেণির নিম্নসীমা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ৭ জন লোকের আয় ২০০-৪০০ টাকা বলার অর্থ হলো ২০০ এর অধিক তবে ৪০০ এর নিচে। অর্থাৎ, পুরোপুরি ৪০০ এখানে ধরা হবে না। ঠিক এর পূর্বপর্যন্ত ধরা হবে । এক্ষেত্রে প্রকৃত সীমা বের করার প্রয়োজন হয় না ।
উপসংহার : উপযুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, পরিসংখ্যানে এরূপ কতিপয় বিষয় সম্বন্ধে ধারণা রাখা প্রয়োজন ।