Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

শিক্ষাক্ষেত্রে নারীর অবস্থান সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

অথবা, নারীর শিক্ষাগত অবস্থান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, নারীর শিক্ষাগত অবস্থান সম্পর্কে সংক্ষেপে বিবরণ দাও ।
অথবা, নারীর শিক্ষাগত অবস্থান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত কর ৷
অথবা, নারীর শিক্ষাগত অবস্থান সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
পুরুষের তুলনায় নারীদের পিছিয়ে থাকার অন্যতম ও প্রধান একটি ক্ষেত্র হলো শিক্ষা। পারিবারিক, সামাজিক ও অন্যান্য অনেকগুলো কারণে বাংলাদেশে নারীরা দীর্ঘকাল শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন ও বাধ্যতামূলক ঘোষণার পর থেকে মেয়ে শিশুদের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি’, উপবৃত্তি প্রকল্প, সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ইত্যাদি কারণে নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি অনুরাগ ও আগ্রহ উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সার্বিকভাবে নারীর অবস্থানে শিক্ষার ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় যথেষ্ট দুর্বল বলে প্রতীয়মান হয়।
নারীর শিক্ষাগত অবস্থান : নিম্নে নারীর শিক্ষাগত অবস্থান আলোচনা করা হলো :
১. প্রাথমিক শিক্ষা : শিশুদের হাতেখড়ি হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী অভাবের কারণে বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠিয়ে বিভিন্ন কাজে নিয়েজিত করে। তার মধ্যে মেয়েদের অবস্থাতো আরো শোচনীয়। যেসব পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো তারাও মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে রাখে। তাই দেখা যায়, বাংলাদেশের স্কুলে যাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা খুব কম। তার মধ্যে নারী শিক্ষা আরো শোচনীয়।
২. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের অবস্থান : অধিকাংশ মেয়েই মাধ্যমিক পর্যায়ে এসে ঝরে পড়ে। তাই এক্ষেত্রে নারীদের শিক্ষার অবস্থা শোচনীয়। কিন্তু সরকার মাধ্যমিক শিক্ষার বিস্তারের জন্য উপবৃত্তি প্রদান করছে। আর এ ব্যবস্থার কারণে নারীরা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করবে।
৩. উচ্চ শিক্ষায় নারীর অবস্থান : বাংলাদেশে নারীদের উচ্চ শিক্ষার হার অতি নগণ্য। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে মেয়েরা যে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি এখনো পুরোপুরি আসেনি। এ কারণে নারীরা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, ধীরে ধীরে নারী শিক্ষার মান কমে আসে। তাছাড়া মেয়েরা সহজ বিষয়গুলো পড়াশুনা করে বেশি। তাছাড়া যারা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করছে তারা বেশির ভাগই কোনো পেশায় জড়িত হয় না। এ কারণে নারী শিক্ষার মানও অবনত।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!