Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলের পটভূমি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলের সম্পর্কে আলোচনা কর।
অথবা, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলের ক্ষেত্র সম্পর্কে বর্ণনা কর।
অথবা, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলের ক্ষেত্র সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা :
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়। মুঘল রাজত্বের অবসানের পর প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রিটিশ রাজত্ব। ব্রিটিশ রাজত্বের শুরুতেই বাংলার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রতিফলিত হয়। ইংরেজদের শোষণমূলক রাজস্বনীতি, চিরাচরিত রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন, দেশীয় বিচারব্যবস্থার পদক্ষেপ, দেশীয় রীতিনীতি বিরোধী কার্যকলাপ, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা প্রভৃতি কারণে বাংলার মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। ব্রিটিশ রাজত্বের দুঃশাসন বাংলায় ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
পটভূমি : ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যু হয়। এরপর তাঁরই দৌহিত্র সিরাজ- উদ-দৌলা মূর্শিদাবাদের সিংহাসনে আরোহণ করেন। সিংহাসনে আরোহণের অল্পকাল পরেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বেশ বিরোধ দেখা যায়। এর কারণের মধ্যে ছিল :
প্রথমত, নবাবের অনুমতি ছাড়াই ইংরেজদের দ্বারা দুর্গ নির্মাণ ও পরিখা দ্বিতীয়ত, কোম্পানির কর্মচারীদের নবাব প্রদত্ত বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধার যথেচ্ছা ব্যবহার ও সরকারি রাজস্বের বিপুল ক্ষতিসাধন; এবং
তৃতীয়ত, ইংরেজদের কলকাতা জমিদারিকে সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে গণ্য করা এবং নবাবের প্রতি অনুগত নয় এমন ব্যক্তিদেরকে আশ্রয় দান। এ নিয়ে নবাবের সঙ্গে ইংরেজ বাহিনীর কয়েকদফা সংঘর্ষ এবং শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়। বস্তুত কোম্পানির কর্মচারীরা পূর্ব থেকে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ব্যবসায় বাণিজ্য বিস্তারে মনস্থির করে। এর সাথে মুর্শিদাবাদ রাজপ্রাসাদের দ্বন্দ্ব ও ষড়যন্ত্র যুক্ত হয়।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন মুর্শিদাবাদের কাছে পলাশীর প্রান্তরে রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে ইংরেজ বাহিনীর সাথে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সৈন্যদের সংঘর্ষ বাঁধে। যুদ্ধে পরাজয় ঘটে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার। এরপর নবাব মীর কাসিমের সাথে ১৭৬৩ সালে ইংরেজদের যুদ্ধ বাঁধে। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা বিহার, উড়িষ্যার দিউয়ানী বা রাজস্ব আদায়ের একচ্ছত্র আইনগত অধিকার লাভ করে। ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে নবাবী শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

পরিশেষে বলা যায় যে, স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় ইংরেজদের তাণ্ডব। ইংরেজরা এ দেশকে তাদের কলোনিতে রূপান্তর করে শাসন করে প্রায় ২০০ বছর। এর মধ্যে অনেক
উত্থানপতনের ঘটনা ঘটে যা সবারই জানা।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!