Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Other

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নীতিমালাগুলাে উল্লেখ কর।

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নীতিমালাগুলো উল্লেখ কর।
অথবা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নীতিমালাগুলো কি কি?
অথবা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নীতিমালাসমূহ তুলে ধর।
অথবা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নীতিমালাগুলো ব্যাখ্যা কর।
অথবা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নীতিমালাগুলো আলোচনা কর।

উত্তরা৷ ভূমিকা : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো কিছুসংখ্যক নীতির সমাহার যার মূল লক্ষ্য হলো সুসংবদ্ধ ও প্রণালিবন্ধ জ্ঞান প্রতিষ্ঠা করা। প্রায় সকল বিজ্ঞানীই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নীতিমালাগুলো অনুসরণ করে। এ নীতিগুলোই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে সুস্পষ্ট ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করে । বৈজ্ঞানিক

পদ্ধতির নীতিমালা : নিম্নে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাধারণ নীতিগুলো উল্লেখ করা হলো :

১. কার্যকরী সংজ্ঞা প্রদান : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অন্যতম নীতি হচ্ছে কার্যকরী সংজ্ঞা প্রদান। অর্থাৎ যেসব বিষয় বা ঘটনা বিশ্লেষণযোগ্য সেসব বিষয় বা ঘটনাকে সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে, যা সহজে পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করা যায়।


২. সার্বিকীকরণ : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে যে নীতিটি পরিলক্ষিত হয়, তাহলো কোনো বিষয় বা অবস্থার নির্দিষ্ট কোনো অংশকে তুলে না ধরে সার্বিক দিকটি তুলে ধরা হয়। অর্থাৎ একটি সাধারণ সূত্র বা নিয়ম বা সত্যতা উপস্থাপন

৩. নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির একটি অন্যতম নীতি হলো গবেষণাধীন বিষয় বা ঘটনাকে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পর্যবেক্ষণ করা। এক্ষেত্রে বিষয়ের উপর পর্যবেক্ষণকারীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। তাছাড়া সম্ভাব্য প্রভাব বিস্তারকারী অবস্থানগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করে নিষ্ক্রিয় রাখা হয়।

৪. সঙ্গতিবিধান : সংগৃহীত উপাত্তের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীগণ যে সার্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেগুলো যাতে সঙ্গতিপূর্ণ হয় সেদিকে তারা লক্ষ রাখেন। অর্থাৎ তারা যে সত্য আবিষ্কার করেন সেগুলো পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এগুলোর মধ্যে কোনো অসামঞ্জস্য ও উল্লম্ফন নেই বলে তারা নিশ্চিত করেন ।


৫. পর্যবেক্ষণের পুনরাবৃত্তি : প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তার নির্ভরযোগ্যতা, ও যথার্থতা বাচাইয়ের জন্য পর্যবেক্ষণের পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ স্থান-কাল-পাত্রভেদে বিজ্ঞানীগণ পুনঃপুন পর্যবেক্ষণ করে পূর্বের সত্যতার সাথে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। বস্তুত পর্যবেক্ষণের পুনারাবৃত্তির ফলে প্রাপ্ত ফলাফল প্রাথমিক ফলাফলের সত্যতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

৬ নিশ্চিতকরণ : প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীগণ যে স্বতঃসিদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ উপায়ে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে এর সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চান। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষিত বিষয় বা অবস্থাসমূহের মধ্যে একটা কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় করার প্রয়াস পান। বস্তুত বিজ্ঞানীরা গৃহীত সিদ্ধান্তটি সম্পর্কে পূর্ণমাত্রায় নিশ্চিত হতে চান ।

উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মূলত সুসংঘবদ্ধ জ্ঞান প্রতিষ্ঠার
জন্য পরিচালিত কিছুসংখ্যক নীতির সমষ্টি। নীতিগুলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বজায় রাখাতে সক্ষম করে
তোলে। স্থান-কাল-পাত্রভেদে প্রায় সব বিজ্ঞানী উপরে উল্লিখিত এসব সাধারণ নীতি অনুসরণ করে চলে।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!