“বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে সেখানে ছিলাম আমি, আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে।”— ব্যাখ্যা কর।

অথবা, ‘বনলতা সেন’ কবিতার আলোকে কবি কোথায়, কীভাবে ছিলেন তার বর্ণনা দাও।
উৎস :
ব্যাখ্যেয় অংশটুকু প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ বিরচিত ‘বনলতা সেন’ শীর্ষক কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ: মানুষের অন্তহীন পথ চলার ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে কবি উল্লিখিত বর্ণনা প্রদান করেছেন।
বিশ্লেষণ : সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানুষ পৃথিবীতে বসবাস করে আসছে। অনন্তকাল ধরে সে পরিভ্রমণ করছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত। ইতোমধ্যে বহু সভ্যতা গড়ে উঠেছে এবং ধ্বংস হয়েছে আরো বেশি। কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অনেক কিছুই। কবি অতীতের ফেলে আসা ভারতীয় ঐতিহ্যের উল্লেখ করে বলেছেন বিম্বিসার ও অশোকের কালেও তিনি ছিলেন এবং ভারতের প্রাচীন বিদর্ভ নগরীতেও তিনি গিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাতো সম্ভব নয়। মানুষের ইতিহাসে ধারাবাহিকতার কথাই তিনি এখানে উল্লেখ করেছেন। বিম্বিসার ও অশোকের রাজত্বকালেও নীড় হারা মানুষ ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে নীড়ের সন্ধান করেছে। প্রাচীন বিদর্ভ নগরে গিয়ে খুঁজেছে তার কাঙ্ক্ষিত নারীকে। মানুষের ভেতরে প্রেমিক সত্তার কোন মৃত্যু নেই। এ সত্তা যুগ থেকে যুগান্তরে, কাল থেকে কালান্তরে, দেশ থেকে দেশান্তরে নিয়ত সঞ্চারিত হচ্ছে। কবি এ সত্তার প্রতিনিধি হিসেবে সমস্ত অতীত ইতিহাসকে বর্তমানের প্রেক্ষাপটে বর্ণনা করেছেন।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%a8%e0%a7%8d/