Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

বার বার আমাদের হাত হয় উদ্দাম নিশান, বার বার ঝড়ক্ষুব্ধ পদ্মা হই আমরা সবাই।- ব্যাখ্যা কর।

উৎস : ব্যাখ্যেয় অংশটুকু বাংলাদেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমান বিরচিত ‘বার বার ফিরে আসে’ শীর্ষক কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : শহীদদের কথা স্মরণ করে কবির মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সেকথাই এখানে বলা হয়েছে।
বিশ্লেষণ : এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা লাভ করেছি। এ স্বাধীনতা এক দিনে আসেনি। একে ছিনিয়ে আনতে সে বায়ান্ন থেকে আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। ব্রিটিশ শাসকদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে আমরা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানি শাসকদের কবলে পতিত হই। ওরা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। বায়ান্ন সালে বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের রক্ত দিয়ে ভাষার মর্যাদা আদায় করেছে। বায়ান্ন সালেই সূচনা হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের। এরপর বহুপথ পাড়ি দিয়ে ঊনসত্তর সালে এ আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে। এদেশের মানুষ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাজপথ উত্তপ্ত করে তোলে। জনতার দাবিকে পদদলিত করে বর্বর পাকিস্তানিরা রাজপথের মিছিলে গুলি চালায়। শহীদ হন আসাদ। মিছিল কিন্তু থামেনি। আসাদের রক্তাপুত শার্টকে পতাকা বানিয়ে এগিয়ে গিয়েছে মিছিল। শোষকেরা মাথানত করতে বাধ্য হয়। কিন্তু সত্তরের নির্বাচনের রায় মেনে না নিয়ে তারা আবার আমাদের উপর গুলি চালায়। শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ওরা পরাজিত হয়। আমরা লাভ করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
মন্তব্য : বাঙালি বীরের জাত। পৃথিবীর কোন শক্তি তাকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। এ গর্বে কবির বুক স্ফীত হয়ে উঠে।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!