Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

বাঙ্গালা ভাষা” প্রবন্ধের মূলভাব আলোচনা কর।

উত্তর : ‘বাঙ্গালা ভাষা’ প্রবন্ধে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আধুনিক বাংলা গদ্যের রূপ কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রেখেছেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে যখন বঙ্কিমচন্দ্র সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন তখন বাংলা ভাষা রচনার ক্ষেত্রে দুটি অভিমত পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। এর একটি অভিমতের প্রবক্তারা মনে করতেন বাংলা ভাষা সংস্কৃত ভাষার দুহিতা। সুতরাং সংস্কৃত শব্দসমূহের একক প্রাধান্য বাংলায় থাকাটা একান্ত আবশ্যক। এঁদের মুখপাত্র রামগতি ন্যায়রত্ন মহাশয় বাংলা ভাষায় আঞ্চলিক, কথ্য তথা বিদেশি শব্দের ব্যবহারকে অমার্জনীয় অপরাধ বলে গণ্য করতেন। দ্বিতীয় অভিমতের প্রবক্তারা মনে করতেন সংস্কৃত ভাষার নিগড় থেকে বাংলা ভাষাকে মুক্ত করা একান্ত কর্তব্য। তাঁরা সংস্কৃত শব্দ পরিহারপূর্বক আঞ্চলিক কথ্য, আরবি-ফারসি ও ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেছিলেন। এ দুই প্রাচীনপন্থি ও নব্যপন্থিদের দ্বন্দ্বের কারণে আধুনিক বাংলা গদ্যের সর্বনাশ সাধিত হতে আর দেরি ছিল না। পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বঙ্কিমচন্দ্র এ কলহের নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যেতৃতীয় অভিমত ব্যক্ত করে ‘বাঙ্গালা ভাষা’ প্রবন্ধটি রচনা করেন। তাঁর মতে, দুই সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরাই ভুল চিন্তার অধিকারী। তিনি বলেছেন, ‘জ্ঞানে মনুষ্য মাত্রেরই তুল্যাধিকার। সুতরাং, সকলের কাছে যে ভাষা বোধগম্য সে ভাষাতেই বাংলা গদ্য রচিত হওয়া উচিত। তাঁর মতে বিষয় অনুসারেই রচনার ভাষার উচ্চতা ও সামান্যতা নির্ধারিত হওয়া উচিত। “যে রচনা সকলেই বুঝিতে পারে এবং পড়িবামাত্রই যাহার অর্থ বুঝা যায়, অর্থগৌরব থাকিলে তাহাই সর্বোৎকৃষ্ট রচনা।” “বলিবার কথাগুলি পরিস্ফুট করিয়া বলিতে হইবে যতটুকু বলিবার আছে, সবটুকু বলিবে- তজ্জন্য ইংরেজি, ফারসি, আরবি, সংস্কৃত, গ্রাম্য, বন্য, যে ভাষার শব্দ প্রয়োজন তাহা গ্রহণ করিবে, অশ্লীল ভিন্ন কাহাকেও ছাড়িবে না।” ভাষাকে সুন্দর করার জন্য যে ধরনের শব্দ প্রয়োজন তা-ই ব্যবহার করতে হবে। এটাই বঙ্কিমচন্দ্রের বিবেচনায় বাংলা গদ্য রচনার সর্বোৎকৃষ্ট রীতি। নব্য ও প্রাচীন উভয় সম্প্রদায়ের অভিমত ত্যাগ করে আলোচ্য রীতি গ্রহণ করার জন্য বঙ্কিমচন্দ্র সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর এ রীতি অবলম্বন করলে বাংলা ভাষা শব্দৈশ্বর্য ও সাহিত্যালঙ্কারে বিভূষিতা হবে।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!