বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বর্ণনা কর ।

[ad_1]

✍️ বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বর্ণনা কর ।

উত্তর। ভূমিকা : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে রপ্তানিতে , বিশ্বব্যাপী চলমান পর্যালোচনা এবং সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় এবং সামগ্রিক ক্ষেত্রে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রথম প্রণোদনা প্যাকেজ ও ২০০৯-১০ অর্থবছর দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে । প্যাকেজের আওতাধীন কোন কোন সুবিধার মেয়াদ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ও ২০০৯-১০ অর্থবছরে শেষ হয়েছে । কোন কোন সুবিধা এখনো বিদ্যমান । এর আওতায় নগদ নানাবিধ সহায়তা প্রদানসহ রপ্তানিকারকদের নানাবিধ সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে ।

রপ্তানি উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ : রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহ নিম্নরূপ :

১. দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল এর আবার ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এ উন্নীত করা হয়েছে ।

২. নতুন পণ্য রপ্তানি ও নতুন বাজার প্রতিষ্ঠার জন্য রপ্তানি আয়ের উপর বর্ধিত ভর্তুকি হিসেবে প্রথম বছরে ৫ শতাংশ , দ্বিতীয় বছরে ৪ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ২ শতাংশ হারে ৩ বছর পর্যন্ত বর্ধিত প্রণোদনা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

৩. বিভিন্ন ব্যাংকের প্রচলিত সার্ভিস চার্জ ও কি এর ক্ষেত্রে বিদ্যমান বড় ধরনের পার্থক্য নিরসনকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সকল চার্জ ও ফিস এর হার যৌক্তিকীকরণের জন্য ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে ।

৪. রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল হতে একক ঋণগ্রহীতার ঋণের পরিমাণ ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে উন্নীত করে । ৩ টি ব্যাংকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে ।

৫. জাহাজ নির্মাণ শিল্প একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানিখাত রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণকে উৎসাহিত করার নিমিত্ত সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে ।

৬. হিমায়িত খাদ্য বর্তমানে চালু এবং রপ্তানি কাজে নিয়োজিত প্রকল্পসমূহ ব্যাংক প্রদত্ত চলতি মূলধন ঋণ সীমার ৩০ শতাংশ পৃথক করে এবং বছরের Moratorium সহ পরবর্তী ৫ বছরে ত্রৈমাত্রিক কিস্তিতে সুদসহ পরিশোধ্য মেয়াদি ঋণ হিসেবে স্থানান্তরের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ।

৭. সরকার কর্তৃক ক্ষুদ্র ও মাঝারি তৈরি পোশাক সামগ্রী রপ্তানিকারকদের কতিপয় শর্তাধীন প্রদত্ত বিশেষ সুবিধার আওতায় ২০১০-১১ অর্থবছরের জন্য জাহাজীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে স্থানীয় মূল্য সংযোজন এর ২ % হারে বিশেষ সুবিধা পাবে ।

৮. NITTRAD প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার ও বিটি এর মধ্যে স্বীকৃত সহায়তা অনুযায়ী- ১. প্রথম বছর সরকার ১০০ % ব্যয় বহন করবে , ২. দ্বিতীয় বছর সরকার ৬০ % ব্যয় বহন করবে ৩. পরবর্তী ৩ বছর ৫০ % ব্যয় বহন করবে এবং ৪. এরপর হতে যিটি এম এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব বহন করবে । a . Crust Leather শিল্পে ৫ % হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে ।

৯. সরকারি ও বেসরকারি খাতের পাটকলসমূহে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানি বিল নেগোশিয়েশন । কালেকশনের পাশাপাশি টিটির মাধ্যমে প্রাপ্ত অগ্রিম মূল্যের বিপরীতে ভর্তুকি প্রদানের সিদ্ধান্ত ১০. সরকারি গ্রহণ করা হয়েছে ।

১১. আইটি / ফটওয়ার ফার্মের অনুকূলে কতিপয় ফি পরিশোধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়াই অনুমোদিত ডিলার কর্তৃক রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা হিসাব হতে ১০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ।

উপসংহার : বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়নে উল্লিখিত পদক্ষেপসমূহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । উক্ত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে আমর রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবো ।

✍️ সাফটা ( SAFTA ) চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ কী কী সুবিধা পাবে বলে তুমি মনে কর ।

উত্তর। ভূমিকা : পারস্পরিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সার্কভুক্ত দেশগুলো কর্তৃক জানুয়ারি ২০০৪ এ SAFTA চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । চুক্তিটি ১ জানুয়ারি ২০০৬ থেকে সার্ক সচিবালয়ের ঘোষণার মাধ্যমে কার্যকর হয়েছে । এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বাণিজ্য উদারীকরণ কর্মসূচি , প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থানি , পরামর্শ , বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাদি এবং সদস্য দেশসমূহ সম্মতিক্রমে গৃহীত অন্যান্য ব্যবস্থাদি । এ চুক্তি অনুযায়ী ভারত , পাকিস্ত ান ও শ্রীলঙ্কা উন্নত দেশের এবং সার্কভুক্ত অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত ।

সুবিধা : সাফটা চুক্তির আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলো তথা বাংলাদেশ নিম্নলিখিত বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারবে ।

১. সাফটা চুক্তি বাস্তবায়নের ৩ বছরের মধ্যে জোটের উন্নত সদস্য দেশসমূহ উন্নয়নশীল সদস্য দেশসমূহের পণ্যের ক্ষেত্রে তঙ্ক হার ০-৫ % এ হ্রাস করবে । অপরদিকে , উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের হার ১০ বছর ০৭৫ % এাস করবে ।

২. উন্নয়নশীল দেশগুলো অপেক্ষাকৃত বড় আকারের সেনসিটিভ লিস্ট প্রণয়ন করে অভ্যন্তরীণ বাজার ও শিল্প সংরক্ষণ করা এবং কাস্টম শুল্ক বাবদ রাজস্ব আদায়ের উপর সম্ভাব্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া এড়ানোর সুযোগ পাবে ।

৩. উন্নয়নশীল দেশসমূহ রপ্তানি স্বার্থে সংশ্লিষ্ট পণ্যাদি উন্নত সদস্য দেশগুলো সেনাসিটিভ লিস্টভুক্ত না করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষ সুবিধা চাইতে পারবে । বিশেষ করে বাংলাদেশ ।

৪. সাফটা চুক্তি বাস্তায়নের ফলে উন্নয়নশীল দেশসমূহ বাংলাদেশসহ আমদানি শুল্ক সংগ্রহ কমে গেলে , সে ক্ষতি পূরণের জন্য উন্নত দেশসমূহের নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে ।

৫. এন্টিডাম্পিং এবং কাউন্টার ডেইলিং ডিউটি আরোপের ক্ষেত্রে চুক্তিভুক্ত উন্নত সদস্য দেশসমূহ উন্নয়নশীল দেশসমূহ কনসালটেশনের সুবিধা দেবে ।

এবং ৬. সাফটা চুক্তির আওতায় বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়তা প্রদানের জন্য উন্নত সদস্য দেশসমূহ উন্নয়নশীল সদস্য দেশসমূহ কারিগরি সহায়তা করবে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে , সাফটা চুক্তি কার্যকর হলে সার্কভুক্ত দেশগুলো একটি অবাধ বাণিজ্য এলাকায় পরিণত হবে । অর্থাৎ এ চুক্তির আওতায় সার্কভুক্ত দেশসমূহের পণ্যগুলো কোনরকম শুল্কজনিত বা অন্য কোন বাধা ছাড়াই অন্য দেশে প্রবেশ করতে পারবে । তবে পুরোপুরি শুল্ক মুক্ত প্রবেশ নিশ্চিত করতে হলে চুক্তি অনুযায়ী সার্কভুক্ত বেশ কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করতে হবে । সাফটা চুক্তির ভবিষ্যৎ অনেকাংশই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানের উপর নির্ভর করছে বলে অনেকে মনে করছেন ।

✍️ অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য এলাকার ( সাফটা ) ভূমিকা কী ?

উত্তর : সাফটাভুক্ত সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি অনুযায়ী জোটের উন্নয়নশীল দেশসমূহ ১ জানুয়ারি ২০০৯ – এ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য স্ব – স্ব দেশের সেনসিটিভ তালিকা বহির্ভূত পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক হার ০ শতাংশ- ৫ শতাংশ এ নামিয়ে অনবে । অন্যদিকে , স্বল্পোন্নত দেশসমূহ স্ব – স্ব দেশের সেনসিটিভ তালিকা বহির্ভূত পণ্যসমূহের শুল্ক হার ১ জুলাই ২০১৬ এ ০ শতাংশ- ৫ শতাংশে নামিয়ে আনবে ।

ইতোমধ্যে ভারত সেনসিটিভ তালিকা বহির্ভূত সমস্ত পণ্যে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের শুল্ক মুক্ত সুবিধা প্রদান করেছে । তাছাড়া ভারত ৬ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে সেনসিটিভ তালিকায় পণ্য সংখ্যা ৭৪৪ থেকে ৪৮০ তে কমিয়ে এনেছে । ভারত দ্বিপাক্ষিক Mou এর অধীনে বাংলাদেশকে ৮ মিলিয়ন পোশাক পণ্যে শুল্ক মুক্ত সুবিধা দিয়েছে । বর্তমানে Tariff Rate Quota ( TRQ ) প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ভারতকে অনুরোধ করেছে । পাকিস্তান সেনসিটিভ তালিকা বহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশের জন্য ৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছে । বর্তমানে প্রতিটি সদস্য দেশের সেনসিটিভ তালিকার অন্তর্ভুক্ত মোট পণ্য সংখ্যার ২০ শতাংশ হ্রাস করার বিষয়ে আলোচনা চলছে । সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে প্যারা – ট্যারিফ ও নন – ট্যারিফ বাধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে একটি এনটিএম সাব গ্রুপ গঠন করা হয়েছে , যার কার্যক্রম অব্যাহত আছে ।

সার্ক অঞ্চলে বিভিন্ন পণ্যের স্ট্যান্ডার্ড হারামোনাইজেশন করার উদ্দেশ্যে সাফটা চুক্তির আওতায় একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে । প্রাথমিক অবস্থায় এ চুক্তিতে শুধুমাত্র পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে সেবাখাত এবং বিনিয়োগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । সেবাখাতের উপর চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে এবং তাতে সকল দেশ স্বাক্ষর করেছে । বিনিয়োগের উপর আলোচনা চলছে । উল্লেখ্য ২০০৮ সালের আফগানিস্থানকে সাফটা চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।

✍️ ডব্লিউটিও ( WTO ) থেকে বাংলাদেশ কী কী সুবিধা লাভ করতে পারবে ?

উত্তর । ভূমিকা : WTO থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছে । তা না হলে বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশকে টিকে থাকাই দায় হতো ।

সুবিধা লাভ : প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সকল কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে । চলমান দোহা রাউন্ড আলোচনায় স্বল্পোন্নত দেশসমূহের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের রপ্তানিযোগ্য সকল পণ্যের শুল্ক মুক্ত ও কোটা মুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার , স্বল্প দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকের অবাধ যাতায়াত নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সেবাখাতের ওয়েভার সিদ্ধান্ত দ্রুত অনুমোদন , খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সেবাখাতের খাদ্য আমদানির সুযোগ অবিরত রাখা , বাজারে প্রবেশাধিকারের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশসমূহের মধ্যে ভারসাম্য

রক্ষাসহ স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্য ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে । বাংলাদেশের সক্রিয় উদ্যোগের প্রেক্ষিতে এসব দাবি এখন স্বল্পোন্নত দেশের মূল দাবিতে পরিণত হয়েছে । যা বিগত ২০০৯ , ১৫ অক্টোবর তারিখে তাঞ্জানিয়ার দারেস সালামে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ।

তাছাড়া হংকং ঘোষণার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৯৭ শতাংশ শুল্ক মুক্ত পণ্যের তালিকায় স্বল্পোন্নত দেশের প্রধান প্রধান রপ্তানিযোগ্য পণ্য যাতে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহ যাতে Disproportionately affected cautions হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশের চাইতে কম সুবিধা পায় সে বিষয়ে দাবি জানানোর বিষয়েও স্বল্পোন্নত এবং সার্কভুক্ত দেশের মন্ত্রিগণ একমত হয়েছে । জেনেভায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশের জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে সদস্য দেশের মন্ত্রিগণ তাদের বক্তব্যে স্বল্পোন্নত দেশের শুল্ক মুক্ত ও কোটা মুক্ত বাজার সুবিধা প্রদানের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের বিষয়ে সমর্থন জানান ।

ইতোমধ্যে ব্রাজিল ২০১০ সালের প্রথম থেকে স্বল্পোন্নত দেশের ৮০ শতাংশ পণ্যের জন্য শুল্ক মুক্ত বাজার সুবিধা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে । আগামি চার বছরের মধ্যে অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পণ্যের জন্যও শুল্ক মুক্ত সুবিধা প্রদানের ঘোষণা দেয় । বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আলোচনার সাথে দেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এনহ্যাপড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক এ যোগদান করেছে । বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালককে ইআইএফ ঘোকাল পয়েন্ট নির্বাচন করা হয়েছে ।

বাণিজ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে । ইআইএফ এর আওতায় বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংকের উদ্যোগে DTIS প্রণয়নের কাজ চলছে । তাছাড়া মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশের যে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন তা নিরূপণ করে একটি প্রতিবেদন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় দাখিল করা হয়েছে । এর পাশাপাশি ডব্লিউটিও টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের আওতায় বিগত বছরগুলোতে ট্রিপস , এসপিএস , নোটিফিকেশন , সার্ভিস ও নন – অগ্রিকালচার মার্কেট এক্সসেস উপর ঢাকায় ওটি ওয়ার্কশপ আয়োজন করাসহ ডব্লিউটিও সংক্রান্ত বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য মাননীয় সংসদ সদস্যদের নিয়েও একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয় ।

উপসংহার : WTO- র অবদান একটা অন্যতম ধনাত্মক দিক । বাংলাদেশ আস্তে আস্তে প্রতিযোগীতার দিকে এগিয়ে যেতে পারবে ।

[ad_2]