প্রশ্নঃ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পার্থক্য ।

[ad_1]

প্রশ্নঃ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পার্থক্য ।

উত্তর ৷ ভূমিকা : বিদেশি সরকার , আর্থিক প্রতিষ্ঠান , আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে সরকার যে ঋণ গ্রহণ করে তাকে বৈদেশিক ঋণ বলে । অন্যদিকে , দেশের জনগণ ও ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার যে ঋণ গ্রহণ করে তাকে অভ্যন্তরীণ ঋণ বলে । অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পার্থক্য নিম্নে এ দু’ধরনের ঋণের মধ্যে পার্থক্যসমূহ আলোচনা করা হলো :

১. ঋণসংগ্রহ পদ্ধতি : সরকার দেশি ঋণ সংগ্রহে জনগণকে স্বেচ্ছা ঋণ গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ করতে পারে অথবা বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ নিতে পারে । কিন্তু বৈদেশিক ঋণ গ্রহণে কোন দেশকে বাধ্য করা যায় না । বৈদেশিক ঋণ বন্ধু প্রতিম দেশসমূহ থেকে আসে ।

২. ঋণের শর্ত : অভ্যন্তরীণ ঋণ সম্পূর্ণ শর্তযুক্ত । কিন্তু বৈদেশিক ঋণ যথেষ্ট শর্তযুক্ত । বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করলে উচ্চ মূল্যের উপাদান ক্রয় , জাহাজ ভাড়া , অর্থনৈতিক নির্দেশমালা মেনে চলতে হয় । অভ্যন্তরীণ ঋণ করলে উন্নয়নের যে কোন স্তরে কাজ করতে পারে । কিন্তু বৈদেশিক ঋণ বিশেষ খাতে ব্যয় করতে হয় ।

৩. অভ্যন্তরীণ ঋণের দ্বারা সমাজের এক শ্রেণীর হাত থেকে অর্থ অন্য শ্রেণীর নিকট স্থানান্তরিত হয় । এর প্রকৃত ভার রয়েছে । অন্যদিকে , বৈদেশিক ঋণের দ্বারা একদেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেলে অন্যদেশে বৃদ্ধি পায় । ঋণ পরিশোধের সময় সমাজকে আর্থিক ও প্রকৃত ভার উভয়ই বহন করতে হয় ।

৪. ঋণ পরিশোধ : অভ্যন্তরীণ ঋণ পরিশোধে সরকার নতুন কর আরোপ ও নতুন মুদ্রা সৃষ্টি প্রক্রিয়ার সাহায্য নিতে পারে । কিন্তু বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রা , ঋণ , স্বর্ণ , রৌপ্য আবশ্যক ।

৫. ঋণ পরিশোধের সময় : অভ্যন্তরীণ ঋণ সবসময়ই স্বল্পমেয়াদি হয় । কিন্তু বৈদেশিক ঋণ সবসময়ই দীর্ঘ হয় ।

উপসংহার : অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের মধ্যে উপযুক্ত পার্থক্যগুলো সর্বজনবিদিত ।

[ad_2]