প্রশ্নঃ অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের কাঠামোগত ও প্রবৃদ্ধির ধারা বর্ণনা কর ।

[ad_1]

প্রশ্নঃ অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের কাঠামোগত ও প্রবৃদ্ধির ধারা বর্ণনা কর ।

উত্তর ৷ ভূমিকা : অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অবদান বিভিন্ন । কৃষি , শিল্প ও সেবা খাতই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অবদান রেখে চলেছে ।

কৃষিখাত : বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাত হলো কৃষি । গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন , খাদ্য , নিরাপত্তা তথা খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন ও দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক ও টেকসই উন্নয়নে কৃষিখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে । কৃষিখাতের অন্যান্য উপখাত হলো- ফসল , পশু সম্পদ , মৎস্য সম্পদ এবং বনজ সম্পদ । স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের জাতীয় উৎপাদনে কৃষিখাতের অবদান বৃদ্ধি পেয়েছে । অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে ১৯৮০-৮১ সালে কৃষিখাতে অবদান ছিল ৩৩.০৭ % এবং তা ২০০৯-১০ এ তা ছিল ২০.১৬ % ।

শিল্পখাত : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পখাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । জাতীয় আয় নির্ণয়ে ১৫ টি খাতের মধ্যে মাইনিং এবং কোয়ারিং , ম্যানুফ্যাকচারিং , বিদ্যুৎ , গ্যাস ও পানি সরবরাহ এবং নির্মাণ এ চারটি খাতের সমতায় শিল্পখাত গড়ে উঠেছে । এ খাতের দুটি উপখাত হলো ( i ) বৃহদায়তন শিল্প এবং ( ii ) ক্ষুদ্রায়তন শিল্প । ১৯৮০ – ৮১ অর্থবছরে স্থির মূল্যে দেশজ উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান ছিল ১৭.৩১ % এবং ২০০৯-১০ এ তা ছিল ২৯.৯৫ % । শিল্পখাতের ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধিই জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধিকে ৯ % উন্নীত করবে বলে আশা করা যায় ।

সেবাখাত : অর্থনৈতিক কর্ম যা অবস্তুগত ও অদৃশ্যমান , যা মানুষের অভাবপূর করে এবং যার জন্য বিনিময় মূল্য দিতে হয় তাকে সেবা বলে । বাংলাদেশে ব্যবসায় বাণিজ্য , পরিবহন , ব্যাংক বীমা , নির্মাণ , গৃহায়ন , লোক প্রশাসন , ডাক্তার উকিলদের সেবাকর্ম , শিক্ষকতা , সেবিকার সেবা , শিল্পী ও গায়ক সবই সেবার আওতাভুক্ত । এসব ক্ষেত্রে সবাকর্ম উৎপন্ন হয় এবং জনগণের নিকট সরবরাহ করে তাদের অভাবপূরণ করা হয় । বিভিন্নখাতের অবদানের কাঠামোগত পরিবর্তন ও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত।

উপসংহার : উপর্যুক্ত সারণি থেকে দেখা যাচ্ছে যে , কৃষি খাতের অবদান হ্রাস পাচ্ছে । পক্ষান্তরে শিল্প ও সেবা খাতের অবদান বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

[ad_2]