রকেট সাজেশনরকেট সাজেশন

কর্মচারী প্রশিক্ষণ বলতে কী বুঝ?

অথবা,প্রশিক্ষণ কী?উত্তর:

ভূমিকা:প্রশিক্ষণ হল একটি সুপরিকল্পিত কার্যকলাপ যা একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং সাংগঠনিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য কর্মীদের মনোভাব ও আচরণে কাঙ্খিত পরিবর্তন আনে। শিল্পে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রশিক্ষণ শিল্প শ্রমিকদের দক্ষতার উন্নতি ও বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। একটি সফল প্রশিক্ষণ কর্মসূচী উৎপাদনশীলতা বাড়াতে, অ্যাট্রিশন বা টার্নওভারের হার কমাতে সাহায্য করে এবং শেষ পর্যন্ত কর্মচারীদের সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যায়।

কর্মচারী প্রশিক্ষণ বা শিল্পে কর্মচারী প্রশিক্ষণ :শিল্প কাজে দক্ষতা, জ্ঞান এবং পরিপূর্ণতা অর্জনের জন্য কর্মচারীদের আরও দায়িত্ব পালনে সক্ষম করার প্রক্রিয়াকে কর্মচারী প্রশিক্ষণ বা শিল্পে কর্মচারী প্রশিক্ষণ বলে। প্রশিক্ষণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি দক্ষতা শেখে, জ্ঞান অর্জন করে এবং মনোভাব বিকাশ করে, যা ব্যক্তিকে ক্ষেত্রে সফল করে তোলে। শিল্পে প্রশিক্ষণ একটি ক্রমাগত প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব নতুন নিয়োগ থেকে শুরু করে ম্যানেজার পর্যন্ত সকল স্তরের কর্মচারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে কার্যকর প্রশিক্ষণ কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ায়। অনুপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির হার হ্রাস পায় এবং কাজের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পদোন্নতির জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা : বিভিন্ন চিন্তাবিদ বিভিন্নভাবে কর্মচারী প্রশিক্ষণ বা শিল্পে কর্মচারী প্রশিক্ষণের সংজ্ঞা দিয়েছেন। যেমন- অধ্যাপক করমিক ও টিফিন (MC. Cormick and Tiffin) বলেন, “বর্তমান বা ভবিষ্যত কর্ম অধিকতর যোগ্যতার সাথে সম্পাদন করার জন্য শিক্ষালব্ধ যে অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হয় তাকে শিল্পে প্রশিক্ষণ বলে ।”এডউইন বি. ফ্লিপপো (Edwin B. Flippo) মনে করেন, “কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য কর্মচারীর জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়াই শিল্পে প্রশিক্ষণ।”প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী সাইমন (Simon) এর মতে, “কর্মক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মচারীরা যেখান থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ কর্মীরা ১২ সপ্তাহ পর সেখানে পৌঁছায়ই।”
মনোবিজ্ঞানী এ. খালেক বলেন, “শিল্পক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ বলতে এমন একটি পরিকল্পিত কার্যক্রমকে বুঝায়, যার ফলে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের কার্যসম্পাদনের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কর্মচারীদের মনোভাব ও আচরণে প্রত্যাশিত পরিবর্তন ঘটে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সব শিল্প প্রতিষ্ঠানেরই উদ্দেশ্য থাকে উৎপাদনের হার বাড়ানো। এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্ভব হয় কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির সাহায্যে কর্মীদের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যদি শিল্প প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হয় প্রতিষ্ঠান ও কাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা এবং উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। তারপর যেকোনো প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত কাজের সন্তুষ্টি বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া।

admin

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!