অথবা, পরিমিত ব্যবধান কী?
অথবা, পরিমিত ব্যবধান ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরা৷ ভূমিকা : বিস্তার পরিমাপের একটি পদ্ধতি হলো পরিমিত ব্যবধান। পরিমিত ব্যবধান বিস্তৃতি পরিমাপের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপক হিসেবে স্বীকৃত। বিস্তার পরিমাপের জন্য এটা সবচেয়ে সঠিক ও বহুলভাবে ব্যবহৃত। ১৮৯৩ সালে কার্ল পিয়ারসন পরিমিত ব্যবধান সম্পর্কে ধারণা দেন। পরিমিত ব্যবধানের সংজ্ঞা দাও।
পরিমিত ব্যবধান : কোন তথ্যসারি বা গণসংখ্যা নিবেশনের গাণিতিক গড় হতে প্রতিটি তথ্যমানের ব্যবধান বা বিচ্যুতির বর্গ সমষ্টিকে মোট তথ্যসংখ্যা (মোট গণসংখ্যা) দ্বারা ভাগ করলে যে মান নির্ণীত হয়, তার ধনাত্মক বর্গমূলকে পরিমিত ব্যবধান বলা হয়। অন্যভাবে, পরিমিত ব্যবধান হলো কোন তথ্যসারির গড় হতে প্রতিটি তথ্যমানের ব্যবধানের বর্গের গাণিতিক গড়ের ধনাত্মক বর্গমূল । একে গ্রিক অক্ষর (Signa) দ্বারা চিহ্নিত করা হয় ।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : বিভিন্ন পরিসংখ্যানবিদ পরিমিত ব্যবধানের সংজ্ঞা বিভিন্নভাবে প্রদান করেছেন। নিম্নে তাঁদের কয়েকটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলো :
মানুনান ও মেরী বলেছেন, “কোন নিবেশনের গড় থেকে সংখ্যাগুলোর ব্যবধানের বর্গের সমষ্টিকে মোট পদসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাকে ভেদাঙ্ক বলে। ভেদাঙ্কের ধনাত্মক বর্গমূলকে পরিমিত ব্যবধান বলে।”
এইচ. এম. ব্লালক বলেছেন, “The standard deviation is defined as the square root of the arithmetic mean of the quared deviations from the mean.” Plea এখানে, x = চলক বা তথ্যমান x = গড় বা গাণিতিক গড় n = মোট তথ্যসংখ্যা
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পরিমিত ব্যবধান তথ্যরাশির বিস্তার পরিমাপের জন্য একটি আদর্শ পরিমাপক, কেননা অন্যান্য পরিমাপকে যেসব অসুবিধাগুলো দেখা যায় পরিমিত ব্যবধান সেসব থেকে মুক্ত। পরিসংখ্যানে এর সর্বাধিক ব্যবহারও পরিলক্ষিত হয়। পরিমিত ব্যবধান, G = | 2 (x – x ) 2