প্রশ্নের উত্তর

তৈল বিরোধ নিষ্পত্তিতে কিংবা আগুন নির্বাপণে কীভাবে কাজ করে?তৈল বিরোধ নিষ্পত্তিতে কিংবা আগুন নির্বাপণে কীভাবে কাজ করে?

উত্তর : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একজন নিষ্ঠাবান গবেষক ও অন্যতম প্রবন্ধকার রূপে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। তিনি তৈল’ প্রবন্ধে তাঁর আলোচনা পদ্ধতির অভিনবত্ব এবং যুক্তিধর্মিতার চমৎকারিত্ব ও পারম্পর্য, সুবিন্যস্তভাবে পরিবেশনা প্রবন্ধটিকে বিশিষ্ট মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। প্রাবন্ধিক তৈলের যে শক্তি তা তিনি বিভিন্ন ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং সেই পর্যবেক্ষণজাত অভিজ্ঞতাকে এখানে তুলে এনেছেন। প্রাবন্ধিক দেখেছেন তৈলের সর্বশক্তিমত্তার প্রকাশ। যেখানে সবকিছু ব্যর্থ- সেখানে তৈল কীভাবে কাজ করে সফল হয় প্রাবন্ধিক মনে করেন, যাকে আমরা স্নেহ বলি তা এক অর্থে তৈল- কেননা তৈল স্নেহজাতীয় পদার্থ। আমরা একে অপরকে ভালোবাসি-স্নেহ করি এর অর্থও দাঁড়ায় আমরা একে অপরকে তৈলদান করে থাকি। স্নেহ ভালোবাসা মানুষকে স্নিগ্ধ করে এবং ঠাণ্ডা করে, অন্যদিকে তৈলও মানুষকে স্নিগ্ধ করে, মাথাকে ঠ ণ্ডা করে- সুতরাং উভয়ের কার্যাদি এবং পরিণতি এক। আর আগুন নিবারণের জন্য তৈলের ব্যবহার সর্বজন স্বীকৃত। এজন্য রেলের চাকায় তৈলের পরিবর্তে অনুকল্প চর্বি ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া দুজন মানুষের মধ্যে জন্য ঘোরতর দ্বন্দ্ব উপস্থিত হয় তখন তৈল নামক পদার্থ এসে উভয়কে ঠাণ্ডা করে দেয়। তৈলের অগ্নিনির্বাপক শক্তি আছে বলেই পিতাপুত্রে, স্বামী-স্ত্রীতে, রাজায়-প্রজায় যুদ্ধ হয় না।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!