তৈলদান প্রবৃত্তি স্বাভাবিক হইলেও উহাতে কৃতকার্য হওয়া অদৃষ্টসাপেক্ষ।” -ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৈল’ প্রবন্ধে তৈলের প্রয়োগ এবং তার কার্যকারিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন। প্রাবন্ধিক মনে করেন বাস্তবিক তৈল সর্বশক্তিমান, তার মহিমা অতি অপরূপ এবং তার মধ্যে সম্মিলনী শক্তি বিদ্যমান। তার দ্বারা আগুন সহজেই নির্বাপিত হয়- আর একটু কৌশল করে তৈল প্রয়োগ করতে পারলেই যে কোনো অসাধ্য কাজ সহজসাধ্য করে তোলা সম্ভব। তবে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর শুধু তৈলের ব্যবহার সম্পর্কে বলেই শেষ করেননি। তৈল কখন কীভাবে, কাকে মারতে হয় এবং তার গুণাগুণ কীভাবে প্রকাশ পায় সে সম্পর্কেও আলোকপাত করেছেন। আর এখানে প্রবান্ধিক তৈলের সম্মিলনীশক্তির সন্ধান পেয়েছেন : “তৈল দিবার প্রবৃত্তি স্বাভাবিক। এ প্রবৃত্তি সকলেরই আছে এবং সুবিধামত আপন গৃহে ও আপন দলে সকলেই ইহা প্রয়োগ করিয়া থাকে।” কিন্তু তৈল দিলেই হয় না- কেননা তেল প্রয়োগ স্থান-কাল-পাত্র বুঝে না দিলে কোনো কাজেই আসে না। তাই প্রাবন্ধিক বলেছেন : “তৈলদান প্রবৃত্তি স্বাভাবিক হইলেও উহাতে কৃতকার্য হওয়া অদৃষ্টসাপেক্ষ।”

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%a4%e0%a7%88%e0%a6%b2-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a6-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b8/