উত্তর : উদ্ধৃত পঙক্তিষয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ঐকতান’ শীর্ষক কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে। নিজের জ্ঞানের দীনতাকে কীভাবে পূর্ণ করা যায় সে সম্পর্কে কবি আলোচ্য পঙক্তিদ্বয়ে আলোকপাত করেছেন। বিপুলা এ পৃথিবীর সবকিছু মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। দেশে দেশে কত নগর, রাজধানী, কত নদী, কত মরু-পাহাড়-পর্বত, কত সাগর-মহাসাগর ও গ্রহ নক্ষত্র জানার অগোচরে থেকে যায়। সাহিত্যের সকল শাখা প্রশাখায় বিচরণ করার পরও কবি জীবনসায়াহ্নে নিজের অপূর্ণতার কথা ব্যক্ত করেছেন। আপনার জ্ঞানের দীনতা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে কবি সদাসচেতন। তাই তিনি গ্রন্থগত বিদ্যা অর্জন করেন। এছাড়া তিনি পাঠ করেন দেশ বিদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য। অক্ষয় উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে গ্রন্থগত জ্ঞানের আলোয় উজ্জীবিত হয়েছেন কবি। আপনার মনের জ্ঞানের দীনতা তিনি এভাবে ভিক্ষালব্ধ ধন দ্বারা পূরণ করে থাকেন। কারণ আমাদের এ ক্ষুদ্র জীবনে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ানো সম্ভব নয়। কাজেই জ্ঞানের এ শূন্যতা একমাত্র গ্রন্থগত বিদ্যার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। বক্ষ্যমাণ উদ্ধৃতিতে নিঃসংকোচে কবি তাঁর জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেছেন।