Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

জাতিসংঘ গৃহীত ক্ষমতায়নের পাঁচটি স্তর কী কী?

অথবা, জাতিসংঘ গৃহীত ক্ষমতায়নের স্তরগুলো বলতে কী বুঝ?
অথবা, জাতিসংঘ গৃহীত ক্ষমতায়নের পাঁচটি স্তর লিখ।
অথবা, জাতিসংঘ গৃহীত ক্ষমতায়নের পাঁচটি স্তর উল্লেখ কর।
জাতিসংঘ গৃহীত ক্ষমতায়নের যে কোনো পাঁচটি স্তর তুলে ধর।
অথবা, জাতিসংঘ গৃহীত নারীর ক্ষমতায়নের স্তরগুলো লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা :
জাতিসংঘ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনগ্রসর নারীদের জাগরণে জাতিসংঘ অর্থায়ন ও কৌশলের মাধ্যমে প্রভাব ফেলে থাকে। জাগ্রত নারী সমাজ সৃষ্টি জেন্ডার ভূমিকাও পুরুষের অধীনতা অগ্রাহ্য করে জেন্ডার বৈষম্যকে জেন্ডার সমতা ও ন্যায্যতায় রূপান্তরিত করবে। নারীর উপর
পুরুষের প্রাধান্য রহিত হবে। নারী ও পুরুষের ক্ষমতার বৈষম্য থাকবে না।
জাতিসংঘ গৃহীত ক্ষমতায়নের স্তর : জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ক্ষমতায়নের পাঁচটি স্তর হলো :
১. নিয়ন্ত্রণ : অংশগ্রহণে সমঅধিকার অর্জিত হলে নারী নিজ স্বার্থ তথা ইচ্ছা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজের এবং সমাজের নিয়ন্ত্রণ, পরিচালন ও প্রভাবিত করার সামর্থ লাভ করবে। নারী যখন সম্পদ আহরণ ও মানসিক বিকাশে পুরুষের সাথে সমতা অর্জন করবে, তখন নিজ ইচ্ছা, চাহিদা ও স্বার্থ বাস্তবায়নের কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে সমর্থ হবে।
২. অংশগ্রহণ : অংশগ্রহণ অর্থ হলো সকল নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নারী ও পুরুষের সমঅংশীদারিত্ব। জেন্ডার বৈষম্য এবং সমাজের একদেশদর্শিতার অসারতাবোধ জাগ্রত হলে জীবনের সকল ক্ষেত্রে পুরুষের সাথে সমঅংশীদারিত্ব করবে।
৩. নারী জাগরণ : প্রত্যেক নারীর মধ্যে এ সত্য জাগ্রত করতে হবে যে, নারীর অধস্তন অবস্থার জন্য নারীর অক্ষমতা, অপারগতা দায়ী নয়। এ অবস্থা জৈবিক নয় এবং সমাজ কর্তৃক সৃষ্ট। কাজেই এই অধস্তন অবস্থাও পরিবর্তনযোগ্য । জাগ্রত নারী এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে।
৪. সম্পদ আহরণ : সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ, ব্যবহার এবং সম্পদের মালিকানা দ্বারা নারী পুরুষ সবার জন্য সমভাবে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষকে সমান অধিকার দিতে হবে। উৎপাদন কার্যে নিয়োগ ও উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীদের দক্ষ করে তুলতে হবে।
৫. কল্যাণ : নারীর ক্ষমতায়নের এ স্তর নারীর বস্তুগত কল্যাণ অর্থাৎ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং আয় উপার্জন আর্থিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত এসব ক্ষেত্রে নারী পুরুষে বৈষম্য ও ব্যবধান চিহ্নিত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায়, উপরের আলোচনায় জাতিসংঘ ক্ষমতায়নের যে পাঁচটি স্তর নির্ধারণ করেছে তা যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটবে। অন্যথায় নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!