“চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য।”- ব্যাখ্যা কর।

উৎস : ব্যাখ্যেয় অংশটুকু প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ বিরচিত ‘বনলতা সেন’ শীর্ষক কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : কবির কাঙ্ক্ষিত রমণী বনলতা সেনের সৌন্দর্যের বর্ণনা প্রসঙ্গে এ পঙক্তি দুটি রচিত হয়েছে।
বিশ্লেষণ : হাজার বছর কবি পৃথিবীর বুকে বিচরণ করে চলেছেন। এর মধ্যে অতিক্রম করেছেন সীমাহীন পথ। সিংহল সমুদ্র থেকে মালয় সাগর পর্যন্ত বিম্বিসা ও অশোকের জগৎ থেকে প্রাচীন বিদর্ভ নগরী অবধি তিনি তন্ন তন্ন করে খুঁজেছেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত নারীকে। অবশেষে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে জীবন সমুদ্রের সফেন তরঙ্গের আঘাতে দুলতে দুলতে হাজির হয়েছেন উত্তরবঙ্গের নাটোরে। এ নাটোরেই সন্ধান পেয়েছেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত দয়িতার। বনলতা সেন নামের এক প্রতীকী নারীসত্তাই তাঁর জীবনের ক্লান্তি দূর করে শাস্তির বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে। কবি এ শান্তির দাত্রী রমণীর রূপ বর্ণনা করতে প্রাচীন ভারতের বিদিশা ও শ্রাবস্তী নগরীকে টেনে এনেছেন। বনলতা সেনের চুলকে তিনি বিদিশা নগরীর অন্ধকারময় মোহময়ী রাত্রির সাথে তুলনা করেছেন। তার মুখকে তুলনা করেছেন প্রাচীন নগরী শ্রাবস্তীর কারুকার্যের সাথে।
মন্তব্য : প্রাচীন যুগের সৌন্দর্যরাশি আগন দয়িতার দেহ-সৌন্দর্যরাশি আপন দয়িতার দেহ-সৌষ্ঠবে প্রতিস্থাপন করে কবি তাকে অদ্বিতীয়া করে তুলেছেন। সে হয়ে উঠেছে সর্বকালের সর্বজনের কাম্য রমণী।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%a8%e0%a7%8d/