Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

গৃহকর্ম সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ কী?

অথবা, গৃহকর্ম সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ বলতে কী বুঝায়?
অথবা, মার্কসীয় নারীবাদে গৃহকর্ম সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
অথবা, মার্কসীয় নারীবাদে গৃহকর্ম সম্পর্কে তুমি যা জান সংক্ষেপে উল্লেখ কর।
অথবা, মার্কসীয় নারীবাদে গৃহকর্ম সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা সংক্ষেপে লিখ।
অথবা, গৃহকর্ম সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
মার্কসীয় দর্শন শ্রমিকের নির্যাতনকে নারীনির্যাতন অপেক্ষা অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কারণ শ্রেণিসমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে নারীনির্যাতন বন্ধ হয়ে যাবে। ধনিকতন্ত্রে নারীর গৃহকর্মের অবমূল্যায়ন ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্যকরণ নারীকে পুরুষের অধীনে অধস্তন জীবনযাপনে বাধ্য করেছে। ধনিকতন্ত্রে নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। পুরুষ উপার্জন করে, নারী ব্যয় করে।
গৃহকর্ম সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ : গৃহকর্ম সম্পর্কে মার্কসীয় নারীবাদ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
১. গৃহ উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট : মার্কসীয় নারীবাদীগণ পুঁজিবাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রবলভাবে আক্রমণ করেছেন। নারী প্রধানত উৎপাদনকারী এবং গৌণত ভোক্তা। নারী একটি শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে।
২. গৃহকর্ম সামাজিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা : নারীমুক্তির একমাত্র উপায় এই যে, সমাজ গৃহকর্ম সম্পাদনের দায়িত্ব নিজ হাতে গ্রহণ করবে এবং সামাজিকভাবে নিষ্পন্ন করবে। গৃহকর্ম সামাজিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা হলে নারীর গৃহকর্মের বোঝা হালকা হবে। নারীর গৃহকর্ম তখন রাষ্ট্রায়ত্ত সেবাশিল্পে রূপান্তরিত হবে। যার ফলে নারীমুক্তি সহজতর হবে।
৩. পরিবারের গুরুত্ব হ্রাস : গৃহকর্ম সামাজিকভাবে নির্বাহ করার অর্থ প্রকারান্তরে পরিবারের গুরুত্ব হ্রাস। পরিবারে নারীর অবস্থানের অবমূল্যায়নের জন্য ধনিকতন্ত্রকে দায়ী করে পরিবার ভেঙে ফেলা গ্রহণযোগ্য নয়। ধনিকতন্ত্রের পরিবার কেবল নারীর প্রজনন ব্যবহার করে, শ্রমশক্তি বৃদ্ধি করার অর্থনৈতিক যন্ত্র নয়। পরিবারে মানুষ ভালোবাসা, নিরাপত্তা ও আরাম আয়েশ লাভ করে যা সকল মানুষের প্রত্যাশা।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সেবাশিল্পে নারীবাদীদের বেতন যদি আশানুরূপ হয় তাহলে অনেক পুরুষও এ কাজ গ্রহণ করতে চাইবে। গৃহকর্ম তখন আর নারীর কর্ম থাকবে না। নারী পুরুষ উভয়ের কর্ম বলে স্বীকৃত হবে।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!