Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

গারো অর্থনীতির বিবরণ দাও।

অথবা, গারো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর।
অথবা, গারো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে কেমন ছিল?
অথবা, গারোদের অর্থনৈতিক পরিচয় দাও।
উত্তরা৷ ভূমিকা :
বাংলাদেশে যে সব উপজাতি রয়েছে তাদের মধ্যে গারোরা অন্যতম। ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর অঞ্চলে গারোরা বাস করে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের মেঘালয় রাজ্য আসাম ও পার্বত্য ত্রিপুরা রাজ্যে ও গারোদের এক বিশাল জনগোষ্ঠী বাস করে।
গারো অর্থনীতি : বাংলাদেশের গারোরা আগে জুম বা পালাক্রমে চাষ করতো। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে গারোরা ১৯৫০ সালের পর থেকে আর জুম চাষ করছে না। এখন তারা হাল কৃষিতে অভ্যস্ত হয়েছে। হালকৃষির মাধ্যমে তারা প্রধানত ধান, নানা জাতের সবজি ও আনারস উৎপাদন করছে। যদিও গারোরা সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বসবাস করে তথাপি জমিদার আমলে জমিদার থেকে তারা কৃষিভূমি বন্দোবস্ত নেয় এবং কৃষিজমিতে ব্যক্তিমালিকানা বর্তায়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম যে নেই একথা বলা চলে না। আগের দিনে গারো সমাজে আর্থিক বৈষম্য তেমন ছিল না বললে চলে। ব্যক্তিমালিকানার উদ্ভব, বাজার তথা মুদ্রা
অর্থনীতির প্রভাব ইত্যাদির ফলে গারো সমাজে ক্রমেই অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমাদের সমতলবাসী, বাঙালি সমাজের তুলনায় গারোদের অর্থনৈতিক বৈষম্য নেহায়েত মামুলি।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, গারোরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিভিন্ন অফিস আদালতে চাকরি করছে। ঐতিহ্যবাহী জুম চাষ বর্তমানে নেই বললেই চলে।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!