অথবা, গড় ব্যবধান ও পরিমিত ব্যবধানের মধ্যে বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর।
উত্তর ভূমিকা : বিস্তার পরিমাপের ক্ষেত্রে গড় ব্যবধান ও পরিমিত ব্যবধান বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি । গড় ব্যবধান ও পরিমিত ব্যবধান কতকগুলো দিক দিয়ে পার্থক্যমণ্ডিত ।
গড় ব্যবধান : কোন তথ্যসারি বা গণসংখ্যা নিবেশনের গড়, মধ্যমা অথবা প্রচুরক হতে তথ্যের প্রতিটি মানের ব্যবধানের চিহ্ন বর্জিতমান অর্থাৎ পরমমানসমূহের সমষ্টিকে মোট তথ্যসংখ্যা বা গণসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে মান নির্ণীত হয়, তাকে গড় ব্যবধান বলে।
পরিমিত ব্যবধান : কোন তথ্যসারি বা গণসংখ্যা নিবেশনের গাণিতিক গড় হতে প্রতিটি তথ্যমানের ব্যবধান বা তার ধনাত্মক বর্গমূলকে বিচ্যুতির বর্গ সমষ্টিকে মোট তথ্যসংখ্যা (মোট গণসংখ্যা) দ্বারা ভাগ করলে যে মান নির্ণীত হয়, পরিমিত ব্যবধান বলা হয় ।
গড় ব্যবধান ও পরিমিত ব্যবধানের পার্থক্য : গড় ব্যবধান ও পরিমিত ব্যবধান উভয় কোন তথ্যসারি বা গণসংখ্যা নিবেশনের পরম বিস্তার পরিমাপের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হওয়া সত্ত্বেও এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় । নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো :
উপসংহার : সুতরাং বলা যায় যে, বিস্তার পরিমাপক হিসেবে গড় ব্যবধান এবং পরিমিত ব্যবধান দুটিই উল্লেখযোগ্ পরিমাপকে হলেও পদ্ধতিগত দিক থেকে গড় ব্যবধান থেকে পরিমিত ব্যবধান অনেকটা এগিয়ে ।