Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

কাজী আবদুল ওদুদের রাষ্ট্র দর্শনের বৈশিষ্ট্য কী?

অথবা, কাজী আবদুল ওদুদের রাষ্ট্র দর্শনের বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।
অথবা, কাজী আবদুল ওদুদের রাষ্ট্র দর্শনের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, কাজী আবদুল ওদুদের রাষ্ট্র দর্শনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যা জান লিখ।
উত্তর।৷ ভূমিকা :
মুসলিম সাহিত্য সমাজের অন্তর্গত বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের যে কয়েকজন সদস্য রয়েছেন কাজী আবদুল ওদুদ তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি মুক্ত বুদ্ধির প্রবক্তা, মননশীল ও প্রগতিশীল শিক্ষাবিদ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। তার দর্শনচিন্তায় পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের প্রভাব সুস্পষ্ট। তিনি পশ্চাৎপদ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, গোঁড়া মুসলিম সমাজে মুক্ত চিন্তা ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাব জাগ্রতকরণে বিশেষ অবদান রাখেন। রাষ্ট্রদর্শনেও তার অবদান রয়েছে।
কাজী আবদুল ওদুদের রাষ্ট্রদর্শনের বৈশিষ্ট্য : কাজী আবদুল ওদুদ কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না হয়েও রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন, যার পরিচয় মেলে তার রাষ্ট্রদর্শনে। রাজনীতি সম্পর্কে তার ধারণা ছিল স্বচ্ছ এবং দূরদর্শী। নিম্নে তার রাষ্ট্রদর্শনের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো :
১. কাজী আবদুল ওদুদের রাষ্ট্রদর্শনে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। তিনি নিজে সরাসরি অহিংসা
নীতিকে সমর্থন করেছেন।
২. কাজী আবদুল ওদুদের রাষ্ট্রদর্শন ছিল অসাম্প্রদায়িক। তিনি সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন করেননি বরং সাম্প্রদায়িক
রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতা করেছেন যার পরিচয় মেলে ভারত বিভাগের বিরোধিতার মধ্য দিয়ে।
৩. ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের সমর্থন করে তিনি বিভক্তিকে সমর্থন করেছেন। তিনি মনে করেন ভাষার ভিত্তিতে প্রয়োজনে বিভক্তিকে সমর্থন করা যেতে পারে। কারণ ভাষার সাদৃশ্য থাকলে সহজে জাতিগত ঐক্য ধরে রাখা যায়। যে কারণে ধর্মের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগকে তিনি মেনে নিতে পারেননি।
৪. তিনি ইসলামি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ করেছেন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরোধিতার মধ্য দিয়ে তিনি এ মত গঠন করেন। কারণ ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে একক জাতি সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে এবং বাকিরা বঞ্চিত থাকে।
৫. তিনি আন্তর্জাতিকভাবে ইসলামবাদ বা প্যান ইসলামবাদের বিরোধিতা করেন। তার মতে, এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি স্বজাতির ও দেশের প্রতি উদাসীনতা সৃষ্টি করে।
উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, তিনি তার রাষ্ট্রদর্শনে কল্যাণকামী রাষ্ট্রের ধারণার অবতারণা করেছেন। তিনি গণতন্ত্রের পাশাপাশি সাম্যবাদী সমাজ গঠনের কথা বলেছেন। বাঙালি দর্শনে তিনি তার স্বীয় প্রজ্ঞা ও মৌলিক দার্শনিক চিন্তা দ্বারা বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক, ভাষাভিত্তিক কল্যাণকামী রাষ্ট্রদর্শন রচনা করে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!