General Knowledge

একজন তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব ও ভূমিকা বর্ণনা কর।

অথবা, একজন তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব ও ভূমিকা আলোচনা কর।
অথবা, একজন তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বসমূহ উল্লেখপূর্বক ব্যাখ্যা কর।
অথবা, তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকাসমূহ আলোচনা কর।
উত্তর।৷ ভূমিকা :
মাঠকর্মে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা অপরিসীম । একজন তত্ত্বাবধায়ক পেশাদান জ্ঞানের অধিকারী এবং তিনি সমাজকর্মের নৈতিক মানদণ্ড ও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুসরণ করে তার দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন করেন।তত্ত্বাবধায়ক এক্ষেত্রে তার তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানকে বাস্তব ক্ষেত্রে কাজে লাগায়।
একজন তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব
তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ক. ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে-
১. ব্যবস্থাপনা নীতিকে কর্মনীতিতে রূপান্তর ।
২. ব্যবস্থাপনার কর্মীদের ইচ্ছা জানানো।
৩. সময়মতো প্রয়োজনীয় উৎপাদন।
৪. গুণাগুণের মান বজায় রাখা।
৫. খরচ কমানো।
৬. ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধিতে পরিকল্পনা এবং পদ্ধতি গ্রহণ করা।
৭. প্রয়োজনীয় মতামত পেশ করা ।
খ. কর্মীদের ক্ষেত্রে (অধীনস্থ) :
১. কর্মীদের কল্যাণ দেখাশুনা করা।
২. তাদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সুনাম রক্ষা করা।
৩. নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলা এবং বজায় রাখার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
৪. তাদেরকে বিভিন্ন কর্মে motivate করা।
গ. সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের ক্ষেত্রে :
ক. প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সেবাকর্মের মান উন্নয়ন।
খ. কর্মীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি ।
গ. কর্মীকে তার কর্মসম্পাদনে সক্ষম করে তোলা।
ঘ. সমস্যাসংকুল অবস্থায় তাদের কার্যকরী সহায়তা প্রদান করা।
ঙ. কর্মীদের কাজের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা।
চ. কর্মীদের নিকট থেকে সর্বোত্তম কাজ আদায় করা।
ছ. কর্মীদের আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা করা।
জ. কর্মীদের কাজে আগ্রহী করে তোলা।
ঝ. কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
ঞ. উপযুক্ত কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ট. কর্মীদের দক্ষতা ও কর্মসম্পাদনকে মূল্যায়ন করা।
ঘ. অন্যান্য দায়িত্ব:
১. কর্মব্যবস্থায় বন্ধুত্ব অর্জন এবং সাহায্যকারী সম্পর্ক বজায় রাখা।
২. বিভিন্ন বিভাগ এবং স্ববিভাগে কাজের ধারা সৃষ্টি করা।
৩. বিভাগগুলোর মধ্য থেকে অতও কাজ প্রতিহত করা।
৪. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পদ্ধতি পরিবর্তন করে কাজের ধারা পরিবর্তন এবং কাজে সহযোগিতা করা।
৫. প্রশিক্ষণ বিভাগকে সহযোগিতা করা।
৬. দ্বন্দ্ব এড়াতে প্রতিরোধমূলক কর্মসচি গ্রহণ
উপসংহার: উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, একটি সংগঠনে তত্ত্বাবধান অত্যন্ত কার্যকরী ও ফলপ্রসু ভূমিকা পালন করে থাকে। সংগঠনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তত্ত্বাবধান সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। সুঠ ও সঠিক তত্ত্বাবধান ছাড়া সংগঠন ভালোভাবে চলতে পারে না। আধুনিক জটিল ও সমস্যাগ্র সংগঠনে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তত্ত্বাবধায়ক বা প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তা উত্তরোত্তর রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!