
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079
১৯৬২ সালের সংবিধান প্রণয়নের কারণ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
admin
- 0
অথবা, ১৯৬২ সালের সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্য আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : কোন দেশে সামরিক শাসক ক্ষমতা দখলের পর তারা তাদের ক্ষমতাকে সুসংহত করার উদ্দেশ্যে বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। আর এ বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়ার একটি ধাপ হলো সংবিধান প্রণয়ন। ১৯৬২ সালের সংবিধান প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়ার একটি অংশ।
১৯৬২ সালের সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্য : নিচে ১৯৬২ সালের সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্য আলোচনা করা হলো :
১. রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন : ১৯৬২ সালের সংবিধান প্রণয়নের আগে জেনারেল আইয়ুব খান পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন এবং নিজেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৬২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থাকে পাকিস্তানের জন্য উপযোগী ঘোষণা করা হয়।
২. মৌলিক গণতন্ত্র প্রবর্তন : ১৯৬২ সালের সংবিধান প্রণয়নের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানে মৌলিক গণতন্ত্র প্রবর্তন করা। মৌলিক গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনসাধারণের ভোটাধিকারের ক্ষমতা হরণ করা হয় এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষমতা চলে যায় আশি হাজার মৌলিক গণতন্ত্রীদের হাতে।
৩. ক্ষমতা সুসংহতকরণ : ১৯৬২ সালের সংবিধান প্রণয়নের পিছনে আইয়ুব খানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতার সুসংহতকরণ। আইয়ুব খান এ সংবিধানকে দুষ্পরিবর্তনীয় হিসেবে ঘোষণা করেন এবং এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি যেন আজীবন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হয়।
৪. ধর্মের ব্যবহার : অন্যান্য সামরিক শাসকের ন্যায় আইয়ুব খানও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের ব্যাপারে অতি উৎসাহী ছিলেন। এ লক্ষ্যে তিনি ১৯৬২ সালের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেন।
৫. পূর্ব পাকিস্তানকে অধিক হারে বঞ্চিত করা : আইয়ুব খান অন্যান্য পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের ন্যায় পূর্ব পাকিস্তানকে বঞ্চিত করার ব্যাপারে সচেষ্ট ছিলেন। এজন্য তিনি ১৯৬২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা করেন যেন পাকিস্তান রাষ্ট্রের কোন ক্ষেত্রেই পূর্ব পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব না থাকে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ১৯৬২ সালের সংবিধান অনেকগুলো অনুচ্ছেদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল। তবে এ সংবিধান প্রণয়নের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আইয়ুব খানের ক্ষমতাকে সুসংহত করা।