রকেট সাজেশনরকেট সাজেশন


অথবা, লিখিত সংবিধানের নেতিবাচক দিক আলোচনা কর।

উত্তর: ভূমিকা: রাষ্ট্র পরিচালনায় বিভিন্ন ধরনের সংবিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে লিখিত সংবিধানের মধ্যে লিখিত সংবিধানের মধ্যে বিভিন্ন গুণ থাকলেও তা দোষের কিছু নয়।লিখিত সংবিধানের ত্রুটি: লিখিত সংবিধানের সমস্ত ত্রুটি নীচে আলোচনা করা হল-

১. রক্ষণশীল: লিখিত সংবিধানের প্রধান দোষ হল এর রক্ষণশীল চরিত্র। ফলস্বরূপ, এই জাতীয় সংবিধান অচলতার জন্য দোষী

২. জটিলতা: সংবিধান লিখিত হলেও সবকিছু লিপিবদ্ধ করা সম্ভব নয়। কিছু অলিখিত বিধান রয়ে গেছে। অতএব, বিশ্লেষণে সময়ে সময়ে বিভ্রান্তি এবং জটিলতা দেখা দিতে পারে।

৩. সংকীর্ণ: লিখিত সংবিধানের বিধিবদ্ধ বিধানের উপর জোর দেওয়া হয়। এই সংবিধানে প্রথা, প্রথা ইত্যাদি উপেক্ষা করা হয়েছে। অন্য কোনো দেশের শাসনব্যবস্থায় তাদের রাজনৈতিক বা সাংবিধানিক গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। তাই লিখিত সংবিধানের ধারাগুলোকে সংকীর্ণ বলা হয়।

৪. অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধকতা লিখিত সংবিধানের অপরিবর্তনীয় চরিত্রের কারণে পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা অবিলম্বে সম্ভব হয় না। কি বাধা দেয়

৫. ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি: একটি লিখিত সংবিধান সরকারের প্রশাসনে ভারসাম্যহীনতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মৌলিক অধিকার সংশোধনের জন্য সংসদের ক্ষমতা নিয়ে ভারতে ষাট ও সত্তরের দশকে বিতর্ক হয়েছিল।যুগে যুগে বিষয়ের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে লিখিত সংবিধান পরিবর্তন করা সহজ নয়। ফলে জনগণ বিপ্লবের মাধ্যমে এই সংবিধান পরিবর্তন করে। এই জাতীয় সংবিধান অনমনীয় এবং পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। ফলে বিপ্লব অনিবার্য হয়ে ওঠে।

উপসংহার: উপরের আলোচনা থেকে লিখিত সংবিধান ত্রুটিপূর্ণ। তাই তুলনামূলক বিশ্লেষণে একটি লিখিত সংবিধান কাম্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!