
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079
হিন্দু ধর্ম মতে নারীর আইনগত অধিকার আলোচনা কর।
admin
- 0
অথবা, হিন্দু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নারীর আইনগত অধিকার সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
অথবা, হিন্দু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নারীর আইনগত অধিকার বর্ণনা কর।
অথবা, হিন্দু ধর্ম মতে নারীর আইনগত অধিকার সম্পর্কে যা জান লিখ ।
উত্তর৷ ভূমিকা : বিবর্তনের ধারায় নারী এবং পুরুষের মধ্যে অধিকারের ক্ষেত্রে দেখা দেয় নানা ধরনের বৈষম্য। কালক্রমে নারী তার ন্যায্য অধিকার হারিয়ে পুরুষের অধীন হয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে জন স্টুয়ার্ট মিলের মতবাদ বিশেষভাবে প্রযোজ্য। তাঁর মতে, “নারীর অধীনতা এক সামাজিক মতবাদের বিশ্বাস মাত্র। এসব কালের গতিতে এমন একটি প্রথায় রূপান্তরিত হয়ে গেছে যার শিকড় ক্রমাগত শাখাপ্রশাখায় বিস্তৃতি লাভ করে সমাজের অনেক গভীরে সুদৃঢ়ভাবে প্রথিত হয়েছে।” আর বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে নারীর অধিকার পর্যালোচনা করে বলা যায় যে, এদেশের নারীসমাজ তাদের অধিকার পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারে না বা তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত।
হিন্দু বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ আইন : হিন্দু বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ আইন এবং সেক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. বিয়ে নিবন্ধন : হিন্দু বিবাহ আইনে বিয়ে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।
২. বহুবিবাহ : স্বামী যত ইচ্ছা বিয়ে করতে পারেন।
৩. তালাক : এ আইন অনুসারে তালাক প্রযোজ্য নয়। সুতরাং স্ত্রীর তালাক দেবার অধিকারের প্রশ্নই আসে না।
৪. ভরণপোষণ : স্ত্রী জীবিতকালীন স্বামীর নিকট থেকে ভরণপোষণ পাবে।
৫. সন্তানের অভিভাবকত্ব : পিতার পর মা সন্তানের অভিভাবক হতে পারবেন।
হিন্দু আইনে নারীর সম্পত্তির অধিকার : হিন্দু আইনে সম্পত্তির ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নেই। স্ত্রী সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে না। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো :
১. ১৯৩৭ সালে সম্পত্তিতে হিন্দু নারীর অধিকার সংক্রান্ত আইন পাস হওয়ার পর হতে বিধবা, একের অধিক বোন হলে সকলে এক পুত্রের সমান অংশ জীবন সত্ত্বেও পাবে।
২. কন্যার মধ্যে অবিবাহিত কন্যার দাবি প্রথমে, পরে পুত্রবর্তী কন্যা অথবা পুত্র সম্ভাব্য কন্যাদের দাবি। বন্ধ্যা, পুত্রসন্তানহীনা, বিধবা কন্যা এবং যেসব কন্যাদের কেবলমাত্র কন্যা সন্তান আছে তারা উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত।
৩. হিন্দু আইনে পিতা বর্তমান থাকলে মাতার কোন সম্পত্তির অধিকার নেই।
উপসংহার : আলোচনা শেষে আমরা দেখতে পাই যে, বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের আইনগত অধিকার স্বীকৃত রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো তারা সে অধিকার কতটুকু ভোগ করতে পারে? পুরুষ প্রধান সমাজে বেশিরভাগ অধিকার থেকেই নারীসমাজ বঞ্চিত হচ্ছে। সমাজের এ সমস্যা দূরীকরণের দায়িত্ব কারো একার নয়, এ দায়িত্ব নারী-পুরুষ সকলের। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করতে।
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079