হার্বার্ট স্পেন্সারের পরিচয় আলোচনা কর।
অথবা, হার্বার্ট স্পেনসার সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।
অথবা, হার্বার্ট স্পেনসারের পরিচয় দাও।
অথবা, হার্বার্ট স্পেনসার এর ওপর একটি টীকা লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা : একটি পৃথক বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও বিকাশের ক্ষেত্রে হার্বার্ট স্পেন্সারের নাম বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তাঁর তাত্ত্বিক অবদান সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে। বিবর্তনের মধ্য দিয়ে কিভাবে সমাজ বর্তমান পর্যায়ে এসেছে সে সম্পর্কে তিনি তত্ত্ব দিয়েছেন। সমাজের বিবর্তনকে বিশেষণ করতে গিয়ে পারিবারিক, রাজনৈতিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রভাব, বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রভাব ও শিল্প সমাজে কিভাবে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা লাভ করে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও বিকাশে যে তত্ত্ব দিয়েছেন সেগুলোকে Social Darwinism’ বলা হয়।
জন্ম ও পরিচয় : হার্বার্ট স্পেন্সার ১৮২০ সালের ২৭ এপ্রিল ইংল্যান্ডের শিল্পায়িত শহর ডার্বির এক প্রোটেস্ট্যান্ট পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনদর্শন ও চিন্তাকর্মে পারিবারিক ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার
আচরণের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ‘Economist’ পত্রিকায় কর্মরত থাকাকালীন তিনি তাঁর প্রথম পুস্তক ‘Social Statistics’ রচনা করেন। এ গ্রন্থখানি তাঁকে একজন লেখক হিসেবে স্বীকৃতি এনে দেয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘Synthetic Philosophy’ অনেকগুলো খণ্ডে সমাপ্ত হয়। গ্রন্থটির সমাজতাত্ত্বিক খণ্ডটির নাম ‘Principles of
Sociology’ । তিনি বিজ্ঞানসমূহকে নিম্নলিখিত ধাপে বিভক্ত করেছেন—
১. জ্যোতির্বিদ্যা (Astronomy),
৩. জীববিদ্যা (Biology),
৫. সমাজবিজ্ঞান (Sociology),
২. প্রাণিবিদ্যা (Zoology),
৪. মনোবিজ্ঞান (Psychology),
৬. নীতিবদ্যা (Ethics)।
উপসংহার : হার্বার্ট স্পেন্সার অগাস্ট কোঁৎ দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। আবার তিনি চার্লস ডারউইনের জীব বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে সমাজবিজ্ঞানে চমৎকারভাবে প্রয়োগ করেন। কারো দ্বারা প্রভাবিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁর পরিচিতি মূলত তাঁর নিজের একান্তই প্রচারিত তত্ত্ব দ্বারা। তাই তিনি স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের অধিকারী.