
ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079
সোনালী কাবিন ৫’ কবির মর্মার্থ লিখ।
admin
- 0
উত্তর : ‘সোনালী কাবিন : ৫’ কবিতায় কবি আল মাহমুদের প্রেমচেতনা ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও নিসর্গকে অবলম্বন করে বাণীমূর্তি পেয়েছে। কবি রাবীন্দ্রিক অশরীরী ও নিষ্কাম প্রেমের পূজারী নন। প্রাচীন কালের সাহিত্য নিদর্শন চর্যাপদে যে দেহজ প্রেমের স্ফূরণ ঘটেছে তাকেই তিনি স্থান দিয়েছেন ‘সোনালী কাবিন ঃ ৫’ কবিতায়। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শরীরী প্রেমের আড়ালে যে অশরীরী সত্তার দ্যোতনা আছে কবি তাকেও সজ্ঞানে এড়িয়ে গেছেন। ফলে কবির প্রেমভাবনা হয়ে উঠেছে শরীরাশ্রয়ী। প্রেমোন্মুখ কবি চিরন্তন মানব-মানবীর হৃদয়াবেগের সত্যটুকুকেই নিখুঁত অবয়ব দান করেছেন। ব্যাধ যেমন পাখির গোত্র চিনতে ভুল করে না, সে যেমন ঠিকই তার শিকারকে বাগে নিয়ে নেয়; তেমনি প্রেমিকও তার প্রেমিকাকে খুঁজে নিতে ভুল করে না। মানব-মানবীর শাশ্বত যে আকর্ষণ তাকে অস্বীকার করা ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই নয়। কবি সেই ভণ্ডামির ধার না ধেরে সরাসরি শরীরী প্রেমের জয়গান গেয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে নরনারী তথা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে যে প্রেম তা কখনো কামনাশূন্য হতে পারে না। শরীরী কামনাকে বাদ দিয়ে কোন প্রেমই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ইতিহাস বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, পৃথিবীর কোন কিছুই স্থায়ী নয়। মিশর, গ্রিস ও সেরাসিনে সে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল কালের আবর্তে তা হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু নর-নারীর মধ্যে যে শরীরী আকর্ষণ তার কোন মৃত্যু হয়নি। তা ধারাবাহিকভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে টিকে আছে।